বগুড়া শেরপুরে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ।,ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ।

194

শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি।

বগুড়ায় ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে ধর্ষককে হাতেনাতে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১৭অক্টোবর) দিনগত রাতে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটে। আটক হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম (২৮)। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামের মো. শাহ আলী জামাদারের ছেলে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদি হয়ে রোববার (১৮অক্টোবর) থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত পাঁচ মাস আগে থেকেই লম্পট সাইফুল ইসলাম এই গৃহবধূকে উত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাবও দেন। কিন্তু তার এসব প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানান ওই গৃহবধূ। এদিকে ঘটনার দিন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাতটার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যান। একপর্যায়ে রাত নয়টার দিকে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন। আর এই সুযোগে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা লম্পট সাইফুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। পরে এই গৃহবধূ ঘরে প্রবেশ করা মাত্র তার মুখ চেপে ধরে নানা ভয়ভীতি দেখায় লম্পট সাইফুল। এরপর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশসহ এলাকার লোকজন এসে ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে থানায় সংবাদ দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষককে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আটক ব্যক্তিকে রোববার দুপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।