শাখারিয়ায় শুরু হয়েছে নূরানী পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষার আসর

254

নিজস্ব প্রতিবেদক(আবু সাঈদ): 

বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত গোপালবাড়ী হামিউচ্ছুন্নাহ হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ পরিচালিত নূরানী ক্লাসে প্রায় ২৫০ জন শিশুর উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে নূরানী কোরআন শিক্ষার আসর।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু করে সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত চলে এই ক্লাস।

কোরআন ক্লাসে শিশুদেরকে সহীহ কুরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন দোয়া- কালাম শিক্ষা দেওয়া হয়।
এছাড়াও কীভাবে বড়দের সম্মান করতে হয় এবং বিভিন্ন আদব – কায়দা শিক্ষা দেওয়া হয়।

অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ হারুন অর রশিদ জানান,
প্রত্যেক পিতামাতার কর্তব্য হলো তার সন্তানকে প্রথমে কুরআন শিক্ষা দেওয়া।
এ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত একজন শিশু ভবিষ্যতে কখনো সমাজ ও দেশের বিরুদ্ধে কাজ করবে না।
এদের দ্বারা কখনো অন্যায় – অপকর্ম সংঘটিত হবে না।
তাই অত্র গোপালবাড়ি গ্রাম ও পার্শবর্তী গ্রামের ৭ বছরের নিচে সকল শিশুদের মাদ্রাসায় পাঠানোর জন্য পিতামাতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

৬নং শাখারিয়া ইউ.পি. সদস্য মোঃ নেছার উদ্দিন বলেন, ছোটবেলায় যে শিক্ষা মানুষ পায় সেটা কখনো ভুলেনা। তাই ছোট বেলা থেকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা দিতে পারলে মানুষ বিপদগামী হওয়ার সম্ভবনা কম। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি সকাল বেলায় কেজি স্কুলগুলোর সময় পরিবর্তন করা দরকার। কারণ সেই সময়ে যদি শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে খুবই ভাল হতো। আর এই ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম খুবই ভাল একটি দিক এর মাধ্যমে এখনো গ্রামে অনেক ছেলেমেয়ে বিনাপয়সায় কোরআন শিক্ষা পাচ্ছে তাই এর পরিধি আরো বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়াও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে এ ধরনের জমজমাট কুরআন শিক্ষা কর্যক্রম দেখা যায় নি।
এটা খুবই ভালো উদ্যেগ। আমরা সবাই চাই এ ধরনের ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকুক। আমরা আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠানো সহ সার্বিক সহযোগিতা করবো।

এ ধরনের নূরানী কুরআন শিক্ষার উদ্যোগ নেওয়াতে স্থানীয়রা খুবই আনন্দিত। পাশাপাশি মহল্লার মুসল্লীদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্বানূভূতি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা