হায়দরাবাদকে হারাল কলকাতা

206

টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গড়াল সুপার ওভারে। ভাগ্য নির্ধারণী সেই ওভারে বিধ্বংসী বোলিং করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের নিউজিল্যান্ড পেসার লুকি ফার্গুনসন। তার করা ওভারের ছয়টি বল খেলতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা।

ওভারের প্রথম বলেই আউট হায়দরাবাদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ফার্গুনসনের করা ওভারের দ্বিতীয় বলটি লংঅনে ঠেলে দিয়ে ডাবল রান নেন আব্দুল সামাদ। তৃতীয় বলে বোল্ড হন তিনি।

সুপার ওভারের নিয়মানুসারে কোনো দলের দুই উইকেট পতন মানেই খেলা শেষ। তিন বলে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে এমন গ্যাঁড়াকলেই পড়েছিল হায়দরাবাদ। যে কারণে শেষ তিন বল খেলার যোগ্যতা হারায় তারা।

জয়ের জন্য সুপার ওভারে কলকাতার সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৩ রান। এমন মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে কোনো তাড়াহুড়া করেননি নাইট রাইডার্সের সদ্য সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক দীনেশ কাতিক এবং ইয়ন মরগান।

হায়দরাবাদের আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের করা ওভারের প্রথম বলটি ডট দেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মরগান। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন এ ইংলিশ ক্রিকেটার। তৃতীয় বল ফেস করতে এসেও রশিদ খানকে সম্মান জানিয়ে ডট দেন দীনেশ কার্তিক। ওভারের চতুর্থ বলে লেগ বাই থেকে দুই রান নিয়ে সহজ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন কেকেআরের সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক কার্তিক-মরগান।

রোববার আবুধাবির শারজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসরের ৩৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে ৫৮ রান করা হায়দরাবাদ এরপর ১২ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। পরে অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। ব্যাটিংয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও আব্দুল সামাদ। ১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ১২ রান আদায় করে নেন তারা। শুভম মাভির করা ওই ওভারের শেষ বলে উইকেট হারান সামাদ।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। আন্দ্রে রাসেলের করা ওই ওভারের প্রথম বল নো, ফ্রি হিটে সিঙ্গেল রান নেন রশিদ খান। ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। পঞ্চম বলে ডাবল রান নেন তিনি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র দুই রান। কিন্তু সিঙ্গেল রানের বেশি নিতে পারেননি ওয়ার্নার। ম্যাচ টাই হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।