ধুনটে ভিখারী হত্যা রহস্য উম্মোচন। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা

223

 

ধুনট প্রতিনিধি।

বগুড়া ধুনটে বিধবা ভিক্ষুক হাসিলা বেওয়া (৪৫) হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত দুই সিএনজিচালক রবিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, স্বীকারোক্তি দেওয়া সিএনজি চালকরা হলো, বাদশা আলম (৩৫) ও ফজলুল হক (৩২)।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর হাসিলা বাপের বাড়িতে থাকতেন। ছেলে হাসেম আলী খালার বাড়িতে থেকে দিনমজুরি করেন। ১২ অক্টোবর সকালে হাসিলা তার বড় বোন ধলি বেগমের সঙ্গে গ্রামে ভিক্ষা করতে বের হন। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরেন। পরে হাসিলা তার বোন ধলির বাড়িতে যান। বোনের সঙ্গে গল্প করে বাড়ির দিকে রওনা হন। ১৩ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ধানক্ষেতে হাসিলার গলায় কাপড় দিয়ে ফাঁস দেওয়া লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে বোন ধলি বেগম ধুনট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, হাসিলা বেওয়ার মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে সিএনজিচালক বাদশা আলম ও ফজলুল হককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার ও জড়িত আরও কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। তারা হাসিলাকে রাস্তা থেকে ধরে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তারা গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়।