বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস আজ

201

 

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক।
পরিসংখ্যান হচ্ছে এক ধরনের গাণিতিক বিজ্ঞান- যা মূলত উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা ও উপাত্ত সহজে পরিবেশন নিয়ে কাজ করে। তথ্যসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিসংখ্যানের ভূমিকা অপরিহার্য। বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস আজ।

পরিসংখ্যান উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। আর্থ সামাজিক সকল কর্মকান্ডের গতি-প্রকৃতি নির্ণয় ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত সঠিক পরিসংখ্যানই কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বশর্ত।

২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২০ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ক ‘কানেক্টিং দ্যা ওয়ার্ল্ড উইথ ডাটা উই ক্যান ট্রাস্ট’। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তৃতীয়বারের মতো আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সব খাতে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে সরকারি ও বেসরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সঠিক ও সময়োচিত পরিসংখ্যানের ব্যবহার অপরিহার্য। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়ানুগ পরিসংখ্যানের প্রয়োগ দেশকে দ্রুত উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে জীবন বাঁচাতে এবং এর থেকে উত্তরণে পরিসংখ্যানের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। করোনা সংকটকালে সরকারের নগদ সহায়তা ও প্রণোদনাসহ সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে মৃত্যুর হার হ্রাস এবং অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক, নির্ভরযোগ্য, সময়োপযোগী এবং বিশ্বস্ত পরিসংখ্যান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের পরিবর্তিত বিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করে।’

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিসংখ্যান কার্যক্রমে নিয়োজিত কয়েকটি পৃথক প্রতিষ্ঠানকে একীভূত ও সুসমন্বিত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে বিবিএস-এর সার্বিক কর্মকাণ্ড সমন্বয়, তত্ত্বাবধান ও সাচিবিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠান করা হয় পরিসংখ্যান বিভাগ। জাতীয় পরিসংখ্যানিক ব্যবস্থাকে আইনগত ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সালে ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে।

এ বছর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবসের প্রতিপাদ্য পরিসংখ্যানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ব্যবহারের গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে বলেও জানান তিনি।