কোর্টের নির্দেশ না মেনে শাজাহানপুরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে সালিশে বসতে বাধ্য করার অভিযোগ

222

 

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে স্থানীয় সালিশে বসতে বাধ্য করার অভিযোগ হয়েছে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার নারিল্যা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম মন্ডল(৫৫)’র বিরুদ্ধে। ওই গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী মরজিনা বেগম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার বগুড়া পুলিশ সুপার বরাবর এই অভিযোগ করেন। অভিযোগের রিসিভ কপি পাননি মরজিনা। কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে পুলিশের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রতিপক্ষ আবুল কালাম মন্ডল সহ অন্যদের সাথে মরজিনার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। প্রতিকার পেতে তিনি বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন(৩০২পি/১৯)। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ১৪৪/১৪৫ধারা মতে প্রতিপক্ষ আবুল কালাম সহ অন্যদের ওই সম্পত্তিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নির্দেশ প্রদান করেন। আদেশের কপি আদালত থেকে শাজাহানপুর থানায় পাঠানো হয়। গত ১৮/০১/২০২০তারিখ থানা থেকে প্রতিপক্ষগনের বাড়িতে সেই নোটিশের কপি দিয়ে পুলিশ পুলিশ চলে আসার সাথে সাথে মর্জিনার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আবুল কালাম এবং তার লোকজন। সেদিন এএসআই হাবিবের মোবাইল ফোন নাম্বারে এবং থানার নাম্বারে অসংখ্যবার ফোন করে সাহায্য চেয়ে ব্যার্থ হন মর্জিনা।
আবুল কালাম উপজেলার মাদলা স্ট্যান্ডের চিহ্নিত ভাড়াটিয়া সন্তাসী সোহাগের মাধ্যমে গত শনিবার সন্ধ্যায় মরজিনার স্বামী গফুরকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশে বসার জন্য চাপ সৃস্টি করে। প্রতিপক্ষরা সালিশের নামে বসিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের উচ্ছেদ করার আশংকা প্রকাশ করেছেন মরজিনা।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের হুমকী এবং আতংক তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ঘরে বিবাহ যোগ্য মেয়ে রয়েছে। বিয়ের সম্মন্ধ আসলে প্রতিপক্ষরা কারণে তা ভেঙে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যপারে আবুল কালাম মন্ডলের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযেগের চেস্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সোহাগ মোবাইল ফোনে জানান, তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের মাদলা ইউনিয়নের সভাপতি পদে আছেন। সালিশে বসলেই তো জমি বের করে দিতে হবেনা। বসলে সমস্যা নাই বলে তিনি জানিয়েছেন।