অতিবৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় হুমকির মুখে চলনবিলের শুঁটকি উৎপাদন

124

এ,এইচ,খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ চলনবিলের পানি নামতে শুরু করেছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর মাছ। টেংরা, পুঁটি, খলসে, বাতাসি, চেলা, মলা, টাকি, বাইম, শোল, গুতুম, বোয়াল, গজার, মাগুর, শিং, কৈসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছ প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে চলনবিলসংলগ্ন নয়টি উপজেলার তিন শতাধিক শুটকি চাতাল। প্রায় ১২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২২টি জলাশয় ও ১৬টি নদীর সমন্বয়ে গঠিত সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর আয়তনের চলনবিলের মাছ যাচ্ছে এসব চাতালে। অতিবৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় এ বছর চলনবিলে শুটকি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে৷

শুটকি চাতাল মালিক ও শ্রমিকরা জানান, মূলত আশ্বিন-অগ্রহায়ণ পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদন। তিন মণ তাজা মাছ শুকালে এক মণ শুটকি পাওয়া যায়। শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ চাতালগুলোয় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। এ বছর অতিবৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় চলনবিলে শুটকি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে৷
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, দুবাই ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশে চলনবিলের শুটকি যাচ্ছে। শুটকি তৈরির পর তিনটি গ্রেডে ভাগ করা হয়। ‘এ’ গ্রেডের শুঁটকি যায় বিদেশে। ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেডের শুটকি বিক্রি হয় দেশের বাজারে। এ বছর এ অঞ্চলে প্রায় ৫০০ টন শুটকি তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷