বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
আগামী ১৩ ও ১৭ই নভেম্বর ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এ উপলক্ষে গতকাল শুরু হয়েছে জাতীয় দলের প্রস্তুতি। ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে ১৪ জন কোভিড-১৯ রিপোর্ট নিয়ে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন। পরে যোগ হয় আরও দুইজন- রাকিব ও আবদুল্লাহ। দুই সহকারী কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানি ও মাসুদ পারভেজ কায়সারের অধীনে প্রথম দিনের অনুশীলন সারেন ফুটবলাররা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গতকাল সকালে প্রথম সেশনের অনুশীলন শেষে আগের দুই হারের প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্য জানান সাদ ও রহমত।
গত আগস্টে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ দিন পর ক্যাম্প বন্ধ হয় বাছাইপর্বের খেলা পিছিয়ে যাওয়ায়। দু’মাস পর ক্যাম্পে ফিরতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ফুটবলাররা। দীর্ঘদিন পর ফুটবলে ফিরে জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিন বলেন, ‘লক্ষ্য একটাই- সামনে ভালো করা।
শেষ দুইটা ম্যাচে আমরা ওদের কাছে হেরেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য প্রতিশোধ নেয়ার। চেষ্টা করবো ম্যাচগুলো জয়ের। খেলোয়াড়দের কমিটমেন্ট আছে একসঙ্গে ভালো পারফর্ম করার।’
প্রস্তুতির জন্য সপ্তাহ তিনেকের সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ। তাছাড়া বসুন্ধরা কিংস তাদের ১৪ জন খেলোয়াড় না ছাড়ায় ক্যাম্পের শুরুর অনুশীলনে দলীয় সমন্বয়ের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কিছুটা। সাদও জানালেন, একসঙ্গে শুরু থেকে অনুশীলন করতে পারলে ভালো হতো। ঢাকা আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এত অল্প সময়ে নিজেদের ফিরে পাওয়া অনেক কঠিন। দীর্ঘ আট নয় মাস পর আমরা মাঠে ফিরেছি। এতদিন আমরা ইনডিভিজ্যুয়াল ট্রেনিং করেছি। এখন দলীয় অনুশীলন করছি। সেখানে শুরু থেকেই সবাইকে পেলে ভালো হতো।’ ফিটনেস লেভেল আগের পর্যায়ে ফিরে পাওয়ার প্রশ্নে আশাবাদী প্রথম সেশনের অনুশীলনে সবচেয়ে সপ্রতিভ থাকা ডিফেন্ডার রহমত। সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘যেহেতু প্রথম দিন, চাপ কম দিতে বলেছিল। মূলত খেলার বেশি সময় নেই। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে আমাদের সুস্থ থাকা, ফিট থাকা। এখনই যদি সবাই প্রেশার দিয়ে ইনজুরিতে পড়ে যায়, তাহলে রিকভার করার সময় পাওয়া যাবে না।’ স্বল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়েও নেপালকে হারাতে আশাবাদী রহমত। ‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। যখন আমরা এশিয়ান গেমসে গিয়েছিলাম, তখন কি ভাবতে পেরেছিলাম যে, কাতারকে হারাতে পারবো। র্যাঙ্কিংয়ে কাতারের চেয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে। আমরা চেষ্টা করব সেরাটা দেয়ার। ভালো ফল পাওয়ার।’ বসুন্ধরা কিংস ৯ই নভেম্বরের আগে জাতীয় দলের ক্যাম্পে খেলোয়াড় না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে ২৭শে অক্টোবর ফুটবলার ছাড়তে সম্মত হয়েছে। কিংসের যুক্তি ছিল, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে টানা প্রাক মৌসুম অনুশীলনে থাকা ফুটবলাররা ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্রামে থাকবেন। এ অবস্থায় তাদের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যাওয়ার সুযোগ নেই। পরে বাফুফের অনুরোধে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে ক্লাবটি। কিংসের ১৪ জনের মধ্যে ২৭শে অক্টোবর জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন ১২ জন। মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি ও স্ট্রাইকার মতিন মিয়া দীর্ঘ চোট থেকে এখনো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন। তাই তাদের জাতীয় দলের জন্য ছাড়ছে না কিংস। গতকাল কিংসের ফুটবলার ছাড়াও গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল অসুস্থতার কারণে যোগ দেননি। এ ছাড়া ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি। জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজী দেশে আসবেন ২৯শে অক্টোবর। ওই দিন অন্য কোচিং স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা আসবেন জাতীয় দলের হেড কোচ জেমি ডে।