চলনবিলে চলছে নির্বিচারে পাখি নিধন৷

250

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ শীতের শুরুতেই চলনবিল এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার ফলে প্রচুর খাদ্য পাওয়া যায়। তাই পাখিরা বিলে খাদ্য সংগ্রহের জন্য আসে। এ সুযোগে চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিলপাড়ে কমপক্ষে ৬০-৭০টি স্থানে শিকারিরা জাল পেতে, বিষটোপে, বড়শিতে মাছ গেঁথে ও ফাঁদ পেতে সাদাবক, ঘুঘু, ডাউক, শালিক, বালিহাস, শামকোল, বুলবুলির চোখে পড়ে বক, হাঁসপাখি, পানকৌড়ী, শালিখ, টিয়া, দোয়েল, ময়না, মাছরাঙা, ঘুঘু, শ্যামা, কোকিল, টুনটুনি, চড়ূইসহ বিলুপ্তপ্রায় পাখি নির্বিচারে শিকার করছে। চলনবিলের যেসব স্থানে পাখি পড়ে, সেখানে সাত সকালে পেশাদার শিকারিরা পাখি ধরার উপকরণ নিয়ে বিলে নেমে পড়ে। তারা তাদের কৌশলে সাদা বক ও কানি বকসহ নানা পাখি ধরে খাঁচায় ভরে। অনেক শৌখিন শিকারি এয়ারগান দিয়ে দিনদুপুরে বক ধরে বন্ধু-বান্ধবদর নিয়ে ভুড়িভোজ করার মতো আয়োজনেও মেতে উঠছে বিলপাড়েই। আবার অনেক শিকারি নানা প্রজাতির পাখি ফেরি করে প্রতিনিয়তই প্রকাশে বিক্রয় করছে চলনবিল পাড়ের হাট বাজারে। এসব পাখি ক্রয় করছে প্রশাসনের লোকই। এরকম শিকার চলতে থাকলে বিগত দিনের মতো আমরা হারিয়ে ফেলবো দেশী প্রজাতির অনেক পাখিকে। ফলে পরিবেশ হবে ভারসাম্যহীন। এমই আশংকা করে পরিবেশ রক্ষায় পাখি ও পশু/প্রানি শিকার বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহনে আবেদন জানিয়েছে পরিবেশবাদীরা। সেই সাথে সকল সাধারন মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাখি নিধনে অভিযান পরিচালনার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।