র‌্যাশফোর্ডের হ্যাটট্রিকে ম্যানইউর গোল উৎসব

120

খেলাধুলা ডেস্ক

মার্কাস র‌্যাশফোর্ড বেঞ্চ থেকে উঠে এসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্বে আরবি লাইপজিগকে ৫-০ গোলে হারালো প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব।

কাগজে কলমে গ্রুপটিতে বেশ শক্ত লড়াইয়ের আভাস মিলেছিল। কিন্তু ইউনাইটেড এই অভিযাত্রায় দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। প্যারিস সেন্ত জার্মেইর মাঠে গত সপ্তাহে ২-১ গোলে জেতার পর বুন্দেসলিগার শীর্ষ দলকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে ম্যানইউ। লাইপজিগ তাদের প্রথম ম্যাচ ২-০ গোলে জিতেছিল ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের বিপক্ষে।

২১ মিনিটে চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যাসন গ্রিনউডের প্রথম গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। পল পগবার থ্রো বল থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ভিএআরে অফসাইড রিভিউর পর গোল দেওয়া হয়।

একাদশে নেমে ডনি ফন বিক দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। কিন্তু ৬৮ মিনিটে তার বদলে ব্রুনো ফের্নান্দেস মাঠে নামার পর ইউনাইটেডের খেলা পাল্টে যায়। তার পাঁচ মিনিট আগে মাঠে নামা র‌্যাশফোর্ডকে বল দেন ফের্নান্দেস। দুর্দান্ত শটে লাইপজিগ গোলকিার পিটার গুলাকসিকে ৭৪ মিনিটে পরাস্ত করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। লাইন্সম্যান পতাকা ওঠালেও ফের ভিএআর থেকে সুবিধা পায় ম্যানইউ। রিভিউয়ে ফের্নান্দেস পাস দেওয়ার আগে র‌্যাশফোর্ডকে সঠিক জায়গায় দেখা গেছে। তাতে গোল বহাল থাকে।

চার মিনিট পর আরেকটি বুলেট গতির শটে স্কোর ৩-০ করেন র‌্যাশফোর্ড। ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে ইউনাইটেডের প্রথম হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু স্পট কিক তিনি না নিয়ে অ্যান্থনি মার্শালকে মৌসুমের প্রথম গোল করার সুযোগ করে দেন।

এদিনসন কাভানির শেষ দিকের একটি অফসাইডে বাতিল হওয়ার পর র‌্যাশফোর্ড যোগ করা সময়ে হ্যাটট্রিক করেন, তাকে গোল বানিয়ে দেন মার্শাল। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম ম্যানইউ খেলোয়াড় হিসেবে বেঞ্চ থেকে উঠে এসে হ্যাটট্রিক করলেন র‌্যাশফোর্ড। আগের এই কীর্তি ছিল তারই বর্তমান কোচ উলে গুনার সুলশারের, যিনি নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে চার গোল করেছিলেন।

এই জয়ে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে ম্যানইউ। গ্রুপটির আরেক ম্যাচে মোয়াসে কিনের জোড়া গোলে ২-০ তে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পিএসজি।

সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তিন ম্যাচ ড্রর পর জ্বলে উঠেছে চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগের এই আসরে তারা প্রথম জয় পেয়েছে ৪-০ গোলে। ক্যালাম হাডসন-ওডোয়, টিমো বার্নার, হাকিম জিয়েখ ও ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ করেন গোল।

ক্রাসনোদারের মাঠে ৩৭ মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। পরের গোলটি আসে ৭৬ মিনিটে, তাতে শুরু হয় গোলবন্যা। ‘ই’ গ্রুপে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চেলসি, ক্রাসনোদারের এক। সেভিয়া ১-০ গোলে রেনেকে হারিয়ে ব্লুদের সমান পয়েন্ট পেয়েছে। তবে গোলব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে তারা।