শেরপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

185

শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার  বারো বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট বাবা আবুল খালেককে (৪৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শুক্রবার  রাতে শেরপুুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দাড়কিপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা মোছা. লাভলী খাতুন বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাগড়া বস্তিপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল খালেক বিগত তিনবছর আগে মামলার বাদি স্ত্রী লাভলী খাতুনকে তালাক দেন। এরপর আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আব্দুল খালেক। তবে তাদের একমাত্র ওই শিশু মেয়েটি তার বাবার সঙ্গে দ্বাড়কিপাড়া এলাকাস্থ ভাড়া বাসায় থাকতেন। আর পাশেই অবস্থিত উপজেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। এদিকে প্রতিদিনে ন্যায় গত ২০অক্টোবর রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েটি। আর তার সৎ মা স্থানীয় একটি রাইচ মিলে কাজ করার জন্য যান। এই সুযোগ নেন লম্পট বাবা খালেক। এমনকি ওই রাত অনুমান দেড়টার দিকে মেয়ের শয়নকক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। সেইসঙ্গে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। তাই সামাজিক মান-মর্যাদা ও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও ধীরে ধীরে শারিরীক ও মানষিকভাবে দূর্বল হতে শুরু করে মেয়েটি। একপর্যায়ে প্রতিবেশি দুই নারীকে ঘটনাটি জানান। এরপর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন লম্পট খালেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় উপস্থিত লোকজনের সামনেই নিজ মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে থানায় সংবাদ দেয়া হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাকে সোপর্দ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার শিশু মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া গ্রেফতারকৃত খালেক কে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে থানা হাজতে আটক অভিযুক্ত আব্দুল খালেক নিজের কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করে বলেন, মাথা ঠিক ছিল না। তাই এমনটি হয়েছে বলে পুলিশের কাছেও স্বীকার করেছে।