সামনে নির্বাচন শাজাহানপুরে জামীনে মুক্ত সন্ত্রাসীরা এলাকায়

227

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়া বর্ধিত পৌরসভার ১৩এবং ২১নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগ অংশ শাজাহানপুর উপজেলা এলাকার ভেতরে। এই এলাকার একাধিক হত্যা মামলার আসামী, অস্ত্র, মাদক সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ডে জড়িত সন্ত্রাসীরা জামীনে মুক্ত রয়েছেন। এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন এলাকার কিশোর গ্যাং। সামনে পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চিহ্নিত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এলাকায় ঢুকেছে। এতে শংকিত হয়ে পড়েছেন এই এলাকার সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী সহ সাধারণ ভোটার। সন্ত্রাসীদের দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন প্রার্থী, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সাধারণ মানুষ।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শাজাহানপুর উপজেলাধিন বগুড়া পৌরসভার ফুলতলা এলাকা। এই এলাকায় একই পরিবারে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিপক্ষের হাতে প্রথমে খুন হন শহর যুবলীগ কর্মী শামীম আহম্মেদ বুশ। এর কিছুদিনের মাথায় চাচা ভাতিজা মজনু এবং নাহিদ জোড়া খুন হন। রেশ কাটতে না কাটতেই নিজ বাড়ির পার্শ্বে খুন হন রঞ্জু প্রামানিক। সেই মামলার আসামীরা জামীনে মুক্ত হয়ে এলাকায় অবস্থান করছে। এই পরিবারের এক সদস্য এবার সম্ভাব্য প্রার্থী হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি উপজেলার শাকপালা এলাকায় মসজীদের সামনে নিজ সহযোগীদের হাতে খুন হয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মিস্টার। সেই ঘটনায় জড়িত অনেকেই মামলার আসামী হয়নি। গ্রেফতার হওয়া আসামীরা কোর্ট থেকে জামীনে মুক্ত হয়ে এলাকায় অবস্থান করছে বলে স্থানীয় লোকজন নিশ্চিৎ করেছেন।
উপজেলার গন্ডগ্রাম, বনানী, ফুলদীঘি, নিশ্চিন্তপুর, হেলেঞ্চাপাড়া সহ আশপাশের এলাকায় অপরাধ জগৎ এখন কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রন করছে। হেলেঞ্চাপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রাতে বিভিন্ন দোকানে দেশীয় ধারলো অস্ত্র লুকিয়ে রাখার জন্য চাপ সৃস্টি করার অভিযোগ জানালেন ওই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ওই এলাকায় নির্মানাধিন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আড্ডা দেয়। অতিরিক্ত টহল এবং শরীর তল্লাশির জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবী রেখেছেন এই এলাকার বাসিন্দারা।
সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী নাদিম প্রামানিক সহ একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী জানান, একাধিক হত্যা মামলা সহ, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামীরা এলাকায় অবস্থান করছে। তাদের কারনে গন সংযোগ করা কঠিন হয়ে পরেছে। প্রতিপক্ষদের কেউ কেউ এইসব সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছেন। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন।
বগুড়া কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি ইনজার্জ পরিদর্শক আম্বার হোসেন জানান, সন্ত্রাসী যেই হোক কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে পারবে না। পুলিশ তৎপর আছে। নির্বিঘেœ সবাই কাজ করতে পারবেন। কোন সমস্যা হলে পুলিশকে জানালে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।