দেশে ফিরে যা বললেন সাকিব

133

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকায় ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসির দেয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে গত ২৮শে অক্টোবর মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর বিমানবন্দরে সাকিবের চোখেমুখেও দেখা গেছে মুক্তির আনন্দ। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল লাউঞ্জে সাংবাদিকদের প্রায় সব প্রশ্নেরই জবাব দিলেন তিনি। দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি সত্ত্বেও তিনি আন্তরিক। আগের রাতে ইউটিউব ভিডিওতে যেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, অনেক প্রশ্ন প্রায় একইরকম, তবুও মুখে হাসি রেখেই উত্তর দিয়ে গেলেন সাকিব।
নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে সারাদেশের মানুষের যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছেন সাকিব, তাতে তিনি আপ্লুত। সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান ক্রিকেটে স্বরূপে ফিরে। তিনি বলেন, ‘আমি দেশের মানুষের ভালোভাসার প্রতিদান দিতে চাই। আগামী দিনগুলোতেও আপনাদের সবার সমর্থন চাই আমি।’
প্রথম প্রশ্নটা ছিল ফিটনেস নিয়ে।

পরিবার ছেড়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার দেশে ফিরেছেন ১৫ই নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া (সম্ভাব্য) পাঁচ দলের কর্পোরেট লীগে খেলবেন বলে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান অনেক আগেই বলেছেন, তিনি এই টুর্নামেন্টে সাকিবকে খেলতে দেখতে চান। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের শর্ত, ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েই সাকিবকে খেলতে হবে। সাকিব সেই শর্ত মেনেই চলবেন। তবে তার আশঙ্কা, একমাস আগে যে ফিটনেস ছিল, সেটি এখন নেই। গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে দেশে ফিরে সম্ভাব্য শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বিকেএসপিতে অনুশীলন করেছিলেন প্রায় চার সপ্তাহ, তখন শারীরিক ফিটনেস ফিরে পেয়েছিলেন অনেকটাই। কিন্তু আইসোলেশনের ব্যাপ্তি নিয়ে টানাপোড়েনে শ্রীলঙ্কা সফর না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি গত মাসের শুরুর দিকে। যুক্তরাষ্ট্রেই তার স্ত্রী আছেন তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে।
ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই সামনের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা পুরোপুরি খেলতে চান সাকিব। বলেন, আগামী জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। ওই সফরের জন্য এই টুর্নামেন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টের পুরোটা খেলতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য পুরো ফিটনেস ফিরে পাবেন বলেই আশা তার। তবে নিজেকে আগের মতো জায়গায় নিয়ে যেতে তাড়াহুড়ো করতে চান না তিনি।
ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়া অলরাউন্ডারকে। শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বটা হয়েছে করোনাবিধি মেনেই।
এক জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় সাকিব গত বছরের ২৮ অক্টোবর ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন। আইসিসির মূল নিষেধাজ্ঞা ছিল দুই বছরের। তবে দোষ স্বীকার করে নেয়ায় ও তদন্তে সহযোগিতা করায় আইসিসি তাকে এক বছরের স্থগিত শাস্তি দিয়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। তবে আগামী এক বছর সাকিবের ওপর নজর রাখবে আইসিসি। সাকিব এমন দোষ আবার করলে শাস্তি বেড়ে যাবে।