নন্দীগ্রামে প্রকাশ্যে ও গোপনে চলছে প্রাইভেট ও কোচিং, মানা হচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা

199

“”””””””””””‘”””””””””””””””””””””””””””
নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধিঃ—করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল শিক্ষা প্রতিস্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলেও সরকারি সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমান করতে সরকারি আদেশকে অমান্য করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রাকাশ্যে ও গোপনে চলছে কোচিং বানিজ্য আর এসব কোচিং পরিচালিত হচ্ছে সরকারি ভাবে বেতন প্রাপ্ত কিছু শিক্ষক কর্তৃক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা বিভিন্ন স্কুল প্রতিস্ঠানে, শিক্ষকদের নিজ বাড়িতে, হাট বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে, বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে ও গোপনে পরিচালিত হচ্ছে প্রাইভেট স্কুল বা কোচিং। এমন কি কোচিংয়ে মানা হচ্ছে নির্দিস্ট দুরুত্ব, কেউ ব্যাবহার করছেনা মাক্স, মানা হচ্ছেনা সাস্থ্যবিধি, শিক্ষার্থীরা বলছে মাস শেষে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তারা কোচিং করছে। অন্যদিকে অনেক শিক্ষকরা বলছে, গ্রামের ছাত্রছাত্রী পাঠদানে পিছিয়ে তাই এই ব্যাবস্থা, অনেক শিক্ষক তাদের ভুল শ্বীকার করে আর পড়াবে না বলছে, স্কুলে প্রাইভেট বা কোচিংয়ের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক বলছে অতিরিক্ত ক্লাস, উক্ত বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ একরামুল হক সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে কোন শিক্ষক কোচিং পরিচালনা করলে প্রমান সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। পড়াশোনা শেষ করা চাকরি না পাওয়া অনেক বেকার যুবকরা বলছে যেসব শিক্ষক সরকারি ভাবে বেতন পাচ্ছে আবার তারাই প্রাইভেট কোচিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে তাহলে আমরা কি সবদিক থেকে বঞ্চিত থাকবো। অন্যদিকে সাধারন জনগন বলছে যে কারনে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিস্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলো এবং ছাত্রছাত্রীদের অটো পাসের ব্যাবস্থা করলো তা কোন কাজে আসলো কি, ঠিকই তো স্কুলে কিংবা বাসা বাড়িতে ভাইভেট কোচিং চলছেই, মধ্যে থেকে শিক্ষকরা ঘরে বসেই বেতন পাচ্ছে এবং প্রাইভেট বা কোচিং করিয়ে বাড়তি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে, তাহলে শিক্ষা প্রতিস্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিলো জনমনে এমন নানান প্রশ্নের উদয় হয়েছে।