আইপিএলে বাদ জাহানারা, হেরেও ফাইনালে সালমা

151

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

নারী আইপিএলের ফাইনালে দেখা হচ্ছে না সালমা খাতুন-জাহানারা আলমের। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শনিবার রাতে সুপারনোভাসের কাছে ২ রানে হেরে গেছে সালমার ট্রেইলব্লেজার্স। সালমাদের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় জাহানারার ভেলোসিটি। সোমবারের ফাইনালে বর্র্তমান চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাসের মুখোমুখি হবে ট্রেইলব্লেজার্স। তিন দলের পয়েন্ট সমান হওয়া সত্ত্বেও রানরেটে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে চলে গেল ট্রেইলব্লেজার্স এবং সুপারনোভা।

আরব আমিরাতের শারজায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় সুপারনোভা। শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন সুপারনোভার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান প্রিয়া পুনিয়া এবং চামারি আতাপাত্তু। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৮৯ রান সংগ্রহ করেন। সালমা খাতুন বোলিংয়ে এসে ট্রেইলব্লেজার্সের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন।

ব্যক্তিগত ৩০ রান করে সালমার বলে দীপ্তি শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন প্রিয়া। এরপর অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকে সঙ্গে নিয়ে দলের ভিত্তি আরও মজবুত করেন আতাপাত্তু। নিজে তুলে নেন অর্ধশতক। ৪৮ বলে ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কার সহায়তায় ৬৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলীয় ১১৮ রানের মাথায় হারলিন দেওলের বলে বিদায় নেন আতাপাত্তু। হারমানপ্রীত ৩১ রান করে রান আউটের শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে সুপারনোভা।

১৪৭ রানের টার্গেটে ট্রেইলব্লেজার্স ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক স্মৃতি মান্দানা ও দিয়ান্দ্রা ডটিনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৪ রান। চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করে স্বদেশী শাকেরা সেলমানের বলে বিদায় নেন ডটিন। একই ওভারে রিচা ঘোষকেও আউট করেন সুপারনোভার সেলমান। এরপর দীপ্তি শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করতে থাকেন স্মৃতি। তৃতীয় উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। অনুজা পাতিলের কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে ৩৩ রান করেন স্মৃতি। দায়ালান হেমালতা মাত্র ৪ রান করে বিদায় নিলে হারের শঙ্কা জেগে উঠে ট্রেইলব্লেজার্সের। তবে পঞ্চম উইকেটে দীপ্তি ও হারলিন দেওল চমৎকার জুটি গড়ে তোলেন। ক্রিজে এসে মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন হারলিন। অন্যদিকে থিতু হয়ে যাওয়া দীপ্তি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন। মাত্র ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন তারা। ২ বলে ৪ রানের প্রয়োজন হলে রাধা যাদবের বল মারতে গিয়ে কাভারে ধরা পড়েন হারলিন। ১৫ বলে ২৭ রান করেন তিনি। শেষ বলে সোফি ইকলস্টোন বাউন্ডারি হাঁকাতে ব্যর্থ হলে ২ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় সুপারনোভাসের।