সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ১৫ লাখ টাকা

120

স্পোর্টস ডেস্ক

ফরচুন বরিশাল, বেক্সিমকো ঢাকা, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী, জেমকন খুলনা এবং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। এই পাঁচ নামেই আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেবে ৫ দল। যারা ১২ই নভেম্বর ড্রাফট থেকে ক্রিকেটারদের বেছে নিয়ে দল গড়বে। এরই মধ্যে জাতীয় দলের নির্বাচকরা ৪টি ক্যাটাগরি বেঁধে দিয়েছেন এই ড্রাফটের জন্য। এ, বি, সি ও ডি- এই চার ক্যাটাগরিতে সাজিয়ে ড্রাফটে রাখা হতে পারে ১৬০ এর বেশি ক্রিকেটারের নাম। অন্যদিকে এই আসরে রাখা হচ্ছে না কোনো আইকন ক্রিকেটার। তাই ‘এ’ ক্যাটাগরিই সর্বোচ্চ, যাদের পারিশ্রমিক হবে ১৫ লাখ টাকা। এছাড়াও ‘ডি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের মূল্য রাখা হয়েছে ৪ লাখ টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। গতকাল দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আমরা ড্রাফটের জন্য ক্রিকেটারদের চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। এবার কোনো আইকন ক্রিকেটার রাখা হচ্ছে না। তাই ‘এ’ ক্যাটাগরিরই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক রাখা হয়েছে। এই ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের মূল্য ১৫ লাখ টাকা। এছাড়াও ‘বি’ ১০ লাখ, ‘সি’ ৬ লাখ ও ডি ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক ৪ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। প্রতিটি দল এই চার ক্যাটাগরি থেকে ক্রিকেটার নিবে ড্রাফটের মাধ্যমে।’ তার মানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবালরা পারিশ্রমিক পাবেন ১৫ লাখ টাকা করে।
অন্যদিকে এতদিন করোনার কারণে ক্রিকেটের বাইরে থাকা ১১৩ ক্রিকেটারকে ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। আজ ৯০ জন ক্রিকেটার এই ফিটনেস টেস্ট দিবে। বিপ টেস্টের মাধ্যমে তাদের বর্তমান ফিটনেসের মান যাচাই করবে বিসিবির ট্রেনাররা। তবে এই পরীক্ষায় পাশ করতে হলে বিপি টেস্টে কমপক্ষে ১১ পয়েন্ট তুলতে হবে বলে জানা গেছে। সেটি জাতীয় ক্রিকেট লীগেও ফিটনেস টেস্টে পাশের মানদণ্ড ধারা হয়। এ বিষয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমরা ফিটনেস টেস্ট জাতীয় লীগের মতই মানদণ্ড ধরেছি ১১ পয়েন্ট। তবে এটি আসলে আলাদাভাবে দেখার কিছু নেই। এত দিন ক্রিকেটাররা খেলার বাইরে ছিলেন, তাদের ফিটনেসের অবস্থা আসলে আমরা দেখে নিতে চাই। সত্যি কথা বলতে কি দলগুলো চালাবে ফ্র্যাঞ্জাইজিরা। তাই তারা নিশ্চয় টাকা দিয়ে দলে আনফিট ক্রিকেটার খেলাবে না! আর আমাদেরওতো দেখার বিষয় আছে কার ফিটনেস কেমন।’