কথায় কথায় কেন কথা বন্ধ!

150

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

যে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষায় কাটতো। সেই যখন নিজের হলে জীবনে এলো, টক-ঝাল-মিষ্টির সংসারে তার সঙ্গে কোনো কারণে সামান্য কথা কাটাকাটি হলেই, কথা বন্ধ করে দেন অনেকেই।

কথা বন্ধ করেই ঝামেলার শেষ হয় না। এরপর পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়। আর এগুলো নিয়ে যখন তৃতীয়পক্ষ কেউ বোঝাতে আসেন তখন এটা কেউই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না।

প্রতিটি পরিবারেই মান-অভিমান থাকবে। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এটা অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে যা করা যায়…

কথা বন্ধ
একটি সম্পর্ক সুন্দরভাবে চালাতে অবশ্যই যোগাযোগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাগ হলে আমরা অনেক সময়ই এমন সব কথা বলে ফেলি, যার জন্য পরে অনুতপ্ত হই। সঙ্গী বেশি রাগ করেছেন! আচ্ছা তাকে একটু সুযোগ দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকতে পারলে, সমস্যা অর্ধেক কমে যাবে।

কষ্ট পেলে
সঙ্গীর ছোট ছোট আচরণে কষ্ট পেলে আমরা সাধারণত বলি না। তবে এই না বলাটা জমতে থাকে। প্রথমে অভিমান হয়, এরপরে ক্ষোভ। অন্যদিকে সঙ্গীও বুঝতে পারছেন না, আপনি যে কষ্ট পাচ্ছেন! এজন্য প্রথম থেকেই আপনার ভালো লাগা-খারাপ লাগা সম্পর্কে সঙ্গীকে ধারণা দিন।

একটু ছাড়
প্রিয় মানুষটা সম্পর্কে বুঝতে পারলে অনেক সমস্যা এমনিই সমাধান হয়ে যায়। যদি বোঝেন সঙ্গী হয়তো একটু বেশি রাগ করেন, তবে তার মনটা ভালো। কিছুক্ষণ পর আবার সব নিজের মতো করেই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে দিন না হয় একটু ছাড়।

সরি বলুন
আমরা অনেকেই ‘সরি’ বলতে অস্বস্তিবোধ করি। ঝগড়া হয়েছে, এখন মনে হচ্ছে একটু বেশিই বলে ফেলেছি। এতোটা না বললেই হতো, বেশ তো সরি লিখে একটা মেসেজ দিন।

সকালটা মিষ্টি কথায়
কোনো বিষয়ে দ্বিমত হতেই পারে। হতে পারে ঝগড়াও। তবে কোনো ঝগড়াই যেন রাত পেরিয়ে পরের দিন পর্যন্ত না গড়ায়। এজন্য দু’জনকেই আন্তরিক হতে হবে। তাই মিষ্টি হাসিতে দু’জন দু’জনকে শুভ সকাল বলে শুরু হোক প্রতিটি দিন।