বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন নির্বাচিত হলেও এখনো ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে বাইডেন শিবির।
নির্বাচনের পর ফলাফলকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশটির জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে নির্বাচনের ফল স্পষ্ট হলেও এখনো সে প্রক্রিয়া শুরু করেনি জিএসএ। তাই জিএসএ’র বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বাইডেন শিবিরের পক্ষ থেকে।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মামলাও করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে বাইডেন শিবিরের মন্তব্য, তাদের বিজয় পরিষ্কার। ফলে এখানে কালক্ষেপণ করার কোন সুযোগ নেই। আর জিএসএ’র প্রধান এমিলি মারফির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এমিলি মারফি পেশাদার মানুষ। তাই তিনি একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম করার জন্য সরকারি তহবিল এবং দফতরের জন্য অপেক্ষা করছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ট্রানজিশন টিম। জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের অনুমতি দিলেও কেবল তা সম্ভব। এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দায়িত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের নিয়োগ করা এমিলি মারফি।
তিনি একটি চিঠিতে সই করলেই রাষ্ট্রীয় তহবিল, সরকারি দফতর এবং সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারবে বাইডেন শিবির। তবে মারফি বলেছেন, কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। এ কারণে তিনি বাইডেন শিবিরকে অনুমতি দিতে পারছেন না।
তবে বাইডেন শিবির জানিয়েছে, তারা আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছেন। অন্যান্য উপায়গুলো নিয়েও তারা আলোচনা করছেন।