বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অবিশ্বাস্য হারের রাতে রামোসের রেকর্ড

118

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ৫৫ নম্বরে থাকা ফিনল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বুধবার রাতে প্রীতি ম্যাচে ফিনিশদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে দিদিয়ের দেশমের দল। ফ্রান্সকে ঘরের মাঠে হারের তেতো স্বাদ উপহার দিয়েছেন দুই অভিষিক্ত মার্কাস ফ্রস ও ওননি ভালাকারি।

কিলিয়ান এমবাপ্পে ছাড়া সবাই ছিলেন একাদশে। তবে পল পগবা, অলিভিয়ে জিরুদ, আঁতোয়ান গ্রিজমান, এনগোলো কাঁতেরা এদিন ফিনল্যান্ডের কাছে প্রথম হার এড়াতে পারেননি। ফিনিশিদের বিপক্ষে টানা আট জয়ের পর হারল ফ্রান্স।

প্যারিসে ধারার বিপরীতে ২৮তম মিনিটে ফিনল্যান্ডকে এগিয়ে দেন ফ্রস। তিন মিনিট পরই দারুণ এক গোলে ব্যবধান বাড়ান ভালাকারি। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে কোনো ম্যাচে প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করল ফ্রান্স। গত ৬৪ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পাওয়া প্রথম দল হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মাঠে জয়ের দেখা পেল ফিনল্যান্ড। সর্বশেষ এমন নজির গড়েছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

১৯৫৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির মাটিতে জয় পেয়েছিল তারা। ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

উয়েফা নেশনস লীগের ম্যাচে আগামী শনিবার পর্তুগালের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। মঙ্গলবার খেলবে সুইডেনের বিপক্ষে।

সার্জিও রামোসের দারুণ রেকর্ড।আরেক প্রীতি ম্যাচে প্রথমে লিড নিয়েও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পায়নি স্পেন। আমস্টারডামে ১৮তম মিনিটে কানালেসের গোলে লিড নেয় স্পেন। বিরতির পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ভ্যান ডি বিকের গোলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। এ ম্যাচ দিয়ে কোনো ইউরোপিয়ান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ইতালিয়ান কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনের পাশে বসলেন স্পেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। দুজনেই খেলেছেন সমান ১৭৬ ম্যাচ। নেদারল্যান্ডসের ডাগআউটে এখনও জয়ের স্বাদ মিলল না ফ্রাঙ্ক ডি বোরের। রোনাল্ড কোম্যানের উত্তরসূরি হিসেবে সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়া ফ্রাঙ্ক ডি বোরের কোচিংয়ে গত ৭ই অক্টোবর মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হেরেছিল নেদারল্যান্ডস। এরপর ওই মাসেই উয়েফা নেশন্স লীগে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ও ইতালির বিপক্ষে ড্র করেছিল ডাচরা।

নেশন্স লীগে আগামী শনিবার সুইজারল্যান্ডের মাঠে খেলবে স্পেন। পরদিন নেদারল্যান্ডস ঘরের মাঠে খেলবে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার মাঠে।