শাজাহানপুরে অযন্ত অবহেলায় ২শতাধিক বর্ষী মিস্টি তেঁতুল গাছ

263

আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ অযত্ন অবহেলার মধ্যে বিস্তর শাখা প্রশাখা মেলে বেঁচে আছে ২শতাধিক বর্ষী ২টি মিস্টি তেঁতুল গাছ। বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খড়না ইউনিয়নের খড়না হাটে অবস্থিত গাছ দুটি উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন তেঁতুল গাছ। সরকারী জায়গায় হওয়ায় এই গাছ গুলোর তেঁতুল যে কেউ নিতে পারেন। ধরেও পর্যাপ্ত পরিমাণ। বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখির নিরাপদ আশ্রয় হয়েছে গাছ দুটি। ছায়াতলে প্রতিদিন শতাধিক লোকজন সমবেত হয়।

বিভিন্ন সময় লাগানো সাইন বোর্ডের অসংখ্য তারকাটা বিঁধে আছে গাছ দুটির বুকে। মূল কান্ড ঘিরে বসেছে চা, পান সিগারেট, সাইকেল মেকার, মুদি সহ বেশ কিছু টং দোকান। গাছের শিঁকড়ে রোদ পৌঁছাতে পারেনা। গাছ গুলো পর্যাপ্ত পরিমানে পানি এবং খাবার সংগ্রহ করতেও পারছেনা। সঠিক পরিচর্যা পেলে গাছ দুটি আরো সতেজ এবং সুন্দর শাখা বিস্তার করতে পারতো। এদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা কৃষি অফিস এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কাছে দাবী রেখেছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
খড়না হাটের আশপাশের প্রবীন ব্যক্তিরা জানান, বুদ্ধি হবার পর থেকে তারা তেঁতুল গাছ দুটিকে এভাবেই দেখে আসছেন। দাদাদের মুখে গাছ গুলোর অনেক গল্প শুনেছেন। তারাও নাকি ছোট বেলা থেকে একই রকম দেখেছেন। গাছ ২টি ২শতাধিক বছরের পুরনো বলে তারা জানিয়েছেন। তখন এদিকে ঘন জঙ্গল থাকায় সচরাচর মানুষ আসতো না। এখনো বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখি গাছ গুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এখন তার নিচে অনেক দোকান হয়েছে। গাছ গুলো রক্ষায় সরকারী উদ্যোগ দাবী করেছেন তারা।।