ধুনটে অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছে রশিদ ছাড়াই অর্থ আদায়ের অভিযোগ

285

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ পরীক্ষার নামে বকেয়া বেতন ও সেশন ফি, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফিসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারিভাবে ৩ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোম অ্যাসাইনমেন্টের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ধুনট আদর্শ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে শ্রেণী ভেদে ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) নির্দেশ দেয়, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এ ৩০ দিনের সিলেবাসে প্রতি সপ্তাহে একটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে সেই অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে স্কুলে জমা দেবে। এর ভিত্তিতেই তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এমনকি যাদের অনলাইন সুবিধা আছে তারা অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া ও জমা দিতে পারবে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে না পারায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া নিষেধ, তাদের নিজ বাড়িতে সেই অ্যাসাইনমেন্ট পৌছিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে হোম অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট জোর করে টাকা আদায় করছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে করোনা মহামারীর মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়াল খুশিমতো মানি রিসিভ (রশিদ) ছাড়াই টাকা আদায় করছেন। অভিভাবকরা আরো জানান, করোনার মধ্যে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে, তাদের আয়ের তেমন কোনো পথ নেই। প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূতভাবে করোনার মধ্যে হোম অ্যাসাইনমেন্টের নামে বিভিন্ন খাতে বে-আইনিভাবে অর্থ আদায় করছেন।

ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেজাব উদ্দীন বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা আদায় না করার জন্য সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। তাই শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বকেয় বেতনসহ অন্যান্য খাতে টাকা আদায় করছি। তবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে হোম অ্যাসাইনমেন্টের জন্য টাকা আদায় করা হচ্ছে না।

ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে দিয়েছেন। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের হোম অ্যাসাইনমেন্টের সময় কোনো ধরনের ফি নেয়া যাবে না। ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।