শিবগঞ্জে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের গোপন বিয়ে ফাঁস! স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগ

146

রশিদুর রহমান রানা শিবগঞ্জ ( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ শিবগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান ফাইমার গোপন বিয়ে ফাঁস। আলোচিত এই বিয়ে প্রকাশ পাওয়ার পর তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারনা করে বিয়ে, যৌতুকের দাবীতে মারপিট, এবং ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার বগুড়া জেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহ কামাল তালুকদার এর সাথে শাহ কামালের পরিবারের সম্মতিতে গত ২০ মার্চ ২০১৯ তারিখে বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন একটি কাজী অফিসে ১০ লক্ষ টাকা দেন মহর ধার্য করিয়া উভয়ে ২য় বিবাহে আবদ্ধ হন । বিয়ের সময় শাহ কামাল নগদ ১ হাজার টাকা দেনমহর পরিশোধ করেন। শাহ কামালের পরিবারের লোকজন তার উইনিয়ন নির্বাচনের সুবিধার্থে বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে তাদেরকে ঘর সংসার করার সুযোগ করে দেয় । এদিকে শাহ কামাল এর বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় সে তার স্ত্রী ফাহিমা আকতার এর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা চিকিৎসা সেবার জন্য ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারনে গ্রহণ করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মাঝে মধ্যেই বাক বিতন্ডতা’র সৃষ্টি হয় ও সাংসারিক ভাবে কলোহ বাঁধে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গত শুক্রবার তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ৬ লক্ষ টাকা ফেরৎ চাইলে তার স্বামী বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কিন্তু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে এর একপর্যায়ে ১৮ নভেম্বর সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুনরায় বাক বিতন্ডতা সৃষ্টি হলে স্বামী শাহ কামাল, ভাগনি মারিয়া ও ফুফু শাশুড়ী আঞ্জুয়ারা বেগম ও তাকে বেধরক ভাবে মারপিট করে এসময় কামালের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেমগ দাড়িয়ে থেকে কামালকে ইন্ধন যোগায় মারার জন্য ও বাড়ী বাহিরের গেটে তালা দিয়ে বাড়ী ভিতরে মারপিট করিয়ে নেয়। এসময় পুলিশ আাসার খবর পেয়ে কামালের প্রথম বউ নুরুন্নাহার বেগম বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার স্থলে উপস্থিত হয়। অপর দিকে পুলিশেরব সহযোগিতায় ফাহিমা আক্তারে পরিবার তাকে উদ্ধার করে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শজিমেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আকতার বলেন, শাহ কামাল আমার সাথে প্রতারনা করেছে, তার পূর্বের বউ রেখে আমাকে বিয়ে করেছে। শুধু তাই নয় ওই প্রতারক তার বাবার চিকিৎসা ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা কথা বলে আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ওই প্রতারক আমার কাছ থেকে আরো ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আমাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমি আইনের আশ্রয় নিবো। এ ব্যাপারে শাহ কামাল বলেন সে আমার স্ত্রী ঠিক আছে কিন্তু টাকার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে সে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাবে। স্বামী শাহ কামাল এর বর্তমানে স্ত্রী ও ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা বলেন আমার কাছে ৬ লক্ষ টাকার ডকুমেন্ট আছে। এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানকে মারপিটের খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটি তাদের পারিবারিক সমস্যা। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।