স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র’ পাচ্ছে ১২ লাখ মানুষ

234

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

দেশের প্রান্তিক মানুষও যাতে খুব সহজে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল হেলথ কার্ড বা স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র চালু করেছে। এই কার্ডে একজন মানুষের চিকিৎসাসংক্রান্ত সব তথ্য সংযুক্ত থাকবে। চলতি বছরেই দেশের ৯ উপজেলার ১২ লাখ মানুষ আর ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের তিন কোটি মানুষ এই কার্ড পাবেন।

গতকাল রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে এই হেলথ কার্ড বিতরণ করেন। দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ‘হেলথ আউটকাম পরিমাপ’ এবং ‘ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড’ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. সহদেব চন্দ্র রাজবংশী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড তৈরি দেশের মানুষের জন্য যুগান্তকারী উদ্যোগ। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এ রকম হেলথ আইডি কার্ডের প্রচলন রয়েছে। এই কার্ড বিতরণের মাধ্যমে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি মাইলফলক উন্মোচিত হলো। কম্পিউটারের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো একজন চিকিৎসক দ্রুত দেখতে পাবেন। কার্ডটি সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে এই কার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সফটওয়্যারে রোগীর আগের তথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকসংলগ্ন এলাকার খানাভিত্তিক প্রতিটি সদস্যের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড তৈরি ও বিতরণ করা হবে। দেশের জনগণ হেলথ আইডি কার্ড ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে পারবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চললে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। আমরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, চুক্তি করেছি ভ্যাকসিন আনার জন্য। যখনই ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত হয়ে যাবে বাজারে আসবে অবশ্যই সেই ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ পেয়ে যাবে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।