লিটনের ব্যাটে চট্টগ্রামের দারুণ জয়

221

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

বেক্সিমকো ঢাকার মতো তারকাখচিত দল জেমকন খুলনাও পাত্তা পেল না গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে।

চট্টগ্রামের তারকা বোলার মোস্তাফিজের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা।

জেমকন খুলনা ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

এ জয়ের মূল নায়ক মোস্তাফিজুর রহমান। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

গত দুই ম্যাচে খুলনার সফলতম ব্যাটসম্যান আরিফুলসহ শামীম, রিশাদ ও আলআমিনকে কম রানেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজ।

তবে খুলনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম। সাকিবকে মাত্র ৩ রানে ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে মাত্র ১ রানে ফেরান নাহিদুল।

চট্টগ্রামের এই দাপুটে বোলিংয়ে ১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় জেমকন খুলনার ইনিংস।

৮৭ রানের মামুলি টার্গেটে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

যেই উইকেটে খুলনার ব্যাটসম্যানরা হাত খুলে মারতেই পারেনি, সেই উইকেটেই রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার।

আল আমিন, শামীম ও হাসান মাহমুদদের তুলোধুনো করে ৪৬ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার লিটন দাস।

অন্যদিকে কিছুটা মন্থর গতিতে ২৯ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।

জেমকন খুলনার পক্ষে একমাত্র সাফল্য সৌম্যের উইকেট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা দেন তিনি।

সৌম্য ফিরে গেলে মুমিনুল হল ৭ বলে ৫ রান করলে মাত্র ১৩.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।

এর আগে টস জিতে নিয়মিত ওপেনার ইমরুল কায়েসকে তিনে পাঠিয়ে ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব।

গত দুই ম্যাচের মতো আজকেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব।

শুরুতেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন ৬ বলে ৬ রান করা বিজয়। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও।

নাহিদুল ইসলামের বোলিংয়ে মিড অন ও লং অনের মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা মোসাদ্দেক সৈকতের ক্যাচে পরিণত হন সাকিব।

সাকিবের পর পরই মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। মাত্র ২ টেকেন তিনি। তাকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাহিদুল।

দলের হাল ধরার চেষ্টা করে তিনে নামা ইমরুল কায়েস। ২৬ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
অন্যদিকে তাকে সঙ্গ দেয়া জহুরুল অমি ১৪ বলে ১৪ রান করে আউট হন।

আজ আরিফুল হকও বেশি দূর যেতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩০ বল টিকে থাকলেও রান করেছেন মাত্র ১৫ ।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আরিফুল। এরপর বোলার আলআমিনকেও দ্রুতই ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ।

১৭.৫ ওভারে ৮৬ রান করতেই থেমে যায় জেমকন খুলনার ইনিংস।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট নেন নাহিদুল।

তাইজুলও ২টি উইকেট পেয়েছেন। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। মাত্র ৫ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৪ উইকেট।