আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত চলনবিলের কৃষক

241

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ রবিশস্য ও আগাম শীতকালীন সবজি চাষে চলনবিলের কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে৷ চলনবিলের নিম্নভূমিতে স্বল্প সময় মেয়াদী সরিষা ও অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে চলছে শীতকালীন সবজিরচাষ৷বেগুন,ফুলকফি, বাধাকফি, টমেটো, মুলা, গাজর, পালং শাক,লাল শাক, সবুজ শাক, সিম,মুলা,গাজর, শশা, ক্ষীরা সহ বিভিন্ন জাতের সবজি৷

এতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলনবিলের উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করা হচ্ছে। বড় পাইকাররা এসে ট্রাক যোগে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে।

চলনবিলের গুরুদাসপুর, তাড়াশ, বড়াইগ্রাম, চাটমোহর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় মাঠে সবজির সমারোহ। চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন সবজির পরিচর্যায়। ভোররাত থেকেই জমি থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে হরেক রকম সবজি। ভোরেই চলে যাচ্ছে পাইকারদের হাতে আর সকাল বিকাল বিক্রী হচ্ছে স্থানীয় হাট বাজারে৷

তিন বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন কৃষক মহিরুল ইসলাম। বুদ্ধির পর থেকেই তিনি কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত। ৪৮ হাজার টাকা জমি লীজের জন্য। আর ৪০ হাজার টাকা ফুলকপি আবাদে ব্যয় করেছেন। আর কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো ফলানো সবজি তার স্বপ্ন পূরন করবে। তাড়াশের সগুনা ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ীর কৃষক নবির উদ্দিন৷ শীতকালীন সবজি চাষই তার জীবনের মূল চালিকা শক্তি। শীতকালীন এই মৌসুমী সবজি তাকে স্বপ্ন দেখায়। তিনিও স্বপ্ন দেখেন তার ফলানো সবজি ক’দিন বাদেই টাকায় পরিণত হবে। এক বিঘা জমিতে ফুলকপি আবাদে সাড়ে ৬ হাজার চারাগাছের প্রয়োজন। তার দাবী, সবজি বাজার নামতে শুরু করেছে। এ বছর সবজির বাজারও ভালো৷ সপ্তাহ খানেক সময়ের ব্যবধানে সবজিগুলো তুলতে পারলেই অন্তত লাভের মুখ দেখবেন তিনি৷

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বছর উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীণ সবজি চাষ হচ্ছে। অনুকুল আবহাওয়া আর পর্যাপ্ত বীজ-সারের সরবরাহ থাকায় উৎপাদন ভাল হয়েছে ও আগাম চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন।