যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক নয়: বাইডেন

205

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের তা নিতে বাধ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মাস্ক বিষয়ে সিডিসির নতুন নির্দেশনার পর বাইডেন এ কথা বলেন। এছাড়া করোনা সংক্রমণ রোধে তার ক্ষমতা গ্রহণের অনুষ্ঠান জাকজমকপূর্ণ হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাস্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) প্রথমবার দেশটিতে ”মাস্ক সার্বজনীন” করার কথা বলেছেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই মাস্ক পরতে হবে। অফিস, শপিংমলসহ অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোতেও মাস্ক পরতে হবে বলে জানিয়েছে সিডিসি।

সিডিসি জানিয়েছে, ভ্যাকসিন আসা পর্যন্ত বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এরমধ্যে রয়েছে, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, অভ্যন্তরীণ স্থানসমূহে (অফিস, বাড়ি) মাস্ক পরা ও অপ্রয়োজনীয় জমায়েত না করা।

সিডিসির নতুন এই নির্দেশনার পর ভ্যাকসিন বিষয়ে কথা বলেন বাইডেন। ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে দেয়া এক বক্তব্যে বাইডেন বলেন, আমার শাসনামলে দেশবাসীকে সঠিক কাজে আগ্রহী করতে সবকিছু করবো। যখন তারা সঠিক কাজটি করবেন তখন তা ভাল ফল বয়ে আনবে।

আগামী ২০ জানিয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। দায়িত্ব গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পর্কে বাইডেন বলেন, আমার ধারণা সেদিন একটি অনুষ্ঠান হবে, তবে আমি জানিনা কিভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। তবে তিনি আশা করছেন, করোনার কারণে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে কোনো বড় ধরেনর জনসামগম হবে না।

এদিকে ফাইজার দাবি করেছে তাদের ভ্যাকসিন করোনায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। আর ম্যাডোর্নার দাবি, তাদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৪ শতাংশ। দুটি প্রতিষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহের অনুমোতির জন্য দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগে (এফডিএ) আবেদন করেছে।

দি পিউ রিসার্স সেন্টার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ মানুষ বর্তমানে ভ্যাকসিনের জন্য প্রস্তুত। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৫১ শতাংশ।

ভ্যাকসিনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে আনার বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন জো বাইডেন। প্রকাশ্যে ভ্যকাসিন নিতে পারলে তার ভালো লাগতো বলেও জানান নতুন প্রেসিডেন্ট। এর আগে দেশটির সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট- বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটন জনসমুক্ষে ভ্যাকসিন নিতে প্রস্তুত।

তবে ভ্যাকসিন আশাবাদের কথা জানা গেলেও করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সিডিসি সতর্ক করেছে, ”যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ মাত্রার সংক্রমণ পর্যায়ে পৌঁছেছে”। শুক্রবার দেশটিতে রেকর্ড আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার মানুষ।