বিয়ের রাতেই বরকে পালিয়ে দিয়েছে

গাবতলীতে বিয়ের সাড়ে ৭মাসেও নববধু’র বাসর হয়নি

253

মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ বগুড়ার গাবতলীতে বিয়ের রাতেই বরকে পরিবারের লোকজন পালিয়ে দেয়ায় দীর্ঘ সাড়ে ৭মাসেও নববধু’র বাসর হয়নি। ওই নববধু শ^শুর বাড়িতে অবস্থান করলেও তার স্বামীকে পরিবারের লোকজন অন্যত্র লুকিয়ে রেখে নববধু’র সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রেখেছে। আবার পরিবারের সকলেই তার (বর) সাথে নিয়োমিত যোগাযোগ বা মোবাইল ফোনে কথা হলেও শুধু বঞ্চিত রয়েছে নববধু। এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে। জানা গেছে, চকরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ফজলে রাব্বী মধু একই ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের টুকু মিয়া’র কন্যার সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে চলতি বছরের ২১এপ্রিল স্থানীয় কাগইল ইউনিয়নের নিকাহ বিবাহ রেজিষ্টার (কাজী) বজলুর রহমানের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামের নিকট দেশের প্রচলিত আইনে তারা বিবাহ রেজিষ্টারী করে। এর পর ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক শফি আহম্মেদ স্বপনসহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়ত মতে ৫লাখ টাকা দেন মোহরানায় উভয়ই বিবাহ আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিবাহ’র রাতেই বর এর চাচা জহুরুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন নববধু’র নিকট থেকে আলাদা করতে বর ফজলে রাব্বী মধুকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে অর্থাৎ বিয়ের রাত থেকেই নববধু’র সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রাখা হয়েছে। এমন কি স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনেও কথা হয় না নববধু’র। ফলে স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে দীর্ঘ সাড়ে ৭মাসেও নববধু’র বাসর হয়নি। এ বিষয় নিয়ে সমাধানের জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি। এ ব্যাপারে ওই নববধু’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের প্রেমের সম্পর্কর পর বিয়ে হয়। বর্তমানেও শ^শুর বাড়িতে আছি। তবে বিয়ের রাত থেকেই আমার স্বামীর সাথে আর দেখা হয়নি এবং আমার সাথে কথা বলে না বা পরিবার থেকে বলতে দেয়া হয় না। নববধু আরো বলেন, শ^শুর-শ^াশুরী শারিক নির্যাতন না করলেও মানষিক নির্যাতন করছেন। এ বিষয়ে নববধু’র শ^শুর সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ছেলের বউ আমাদের বাড়িতেই আছে, ছেলে মধুকে বউ নিয়ে যেতে বলেছি। তবে ছেলে মধু বাড়িতে না আসলেও আমাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে। তিনি আরো বলেন, বিয়ের দেন মোহরানা ৫লাখ টাকা করায় আমরা বিয়ের রেজিষ্টি বাতিলের দাবীতে নিকাহ বিবাহ রেজিষ্টারসহ (কাজী) ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার পরও বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছি এবং করছি। স্থানীয় কাগইল ইউপি চেয়ারম্যান আগা নিহাল বিন জলিল তপন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটি প্রেম এর পর বিয়ে হলেও ছেলের পরিবার মেনে নিচ্ছে না বলে আমি জানতে পেয়েছি। দীর্ঘ দিনেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় অত্যান্ত দুঃখজনক। সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক শফি আহম্মেদ স্বপন বলেছেন ওই সময় ঘটনাটি আমার জানা ছিল। বর ফজলে রাব্বী মধু’র সাথে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় কাগইল ইউনিয়নের নিকাহ বিবাহ রেজিষ্টার (কাজী) বজলুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাজেরান মজলিসে অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের রেজিষ্টারী ও বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমার সহকারী রফিকুল ইসলাম রেজিষ্টারী ও বিবাহ সম্পন্ন কাজে উপস্থিত ছিলেন।