বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুতের অভিযোগে মাতব্বর গ্রেফতার

207

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অপহরণের পর প্রায় দেড়মাস ধরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সাত সদস্যর পরিবারকে সমাচ্যুত করার অভিযোগে গ্রামের প্রধান মাতব্বর আবু সাঈদ শেখকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবু সাঈদ উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

সোমবার বিকেলের দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে দেউড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আবু সাঈদ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রামের মাতব্বরদের সিদ্ধান্তে প্রায় চার মাস ধরে স্কুলছাত্রীর পরিবারটি একঘরে হয়ে দূর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই ছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগীতায় ১৬জুলাই গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে ১২ আগস্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাসুদ রানা ও ফজলুল হকসহ ৭জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামীরা গ্রামের মাতব্বর পান্না সরকার, আবু সাইদ ও সোলায়মান আলীর যোগসাজসে ২৮জুলাই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করে। এ অবস্থায় ২৫সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

ধুনট থানার অফিসার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগীতা করা এবং স্কুলছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ গ্রামের মাতব্বর আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত গ্রামের অন্যান্য মাতব্বরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।