মেয়র পদে একক প্রার্থী চুড়ান্ত

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিএনপির সমর্থন পেতে চান যারা

364

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য একক প্রার্থী বাছাই করেছে শহর বিএনপি। মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থীর মধ্য থেকে ওয়ার্ড নেতারা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাকেই সমর্থন দিয়েছেন। চুড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য তার নাম এখন জেলা কমিটির সুপারিশসহ কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অবশ্য মেয়র পদে একক প্রার্থী খুঁজে নিতে পালেও কাউন্সিলর পদে ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেবলমাত্র ২টিতে একক প্রার্থীকে আগাম সমর্থন দিতে সক্ষম হয়েছে দলটি। অন্য ১৯টির মধ্যে ১১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে কেউ সমর্থন চেয়েছেন কি’না সে বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। বাকি ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন পেতে বিএনপি’র ৭৮জন নেতা-কর্মী ফরম উত্তোলন ও জমা দিয়েছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলের ৭টি পদের মধ্যে ৩টি ছাড়া বাকি ৪টিতে ১২জন দলীয় সমর্থনের আশায় ফরম উত্তোলনের পর জমা দিয়েছেন। গত ৫ অক্টোরবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফরম উত্তোলন ও জমা প্রদান কার্যক্রম চলে। মেয়র পদে ফরমের মূল্য রাখা হয় ৫ হাজার টকা আর কাউন্সিলর পদে ফরমের মূল্য রাখা হয় ২ হাজার টাকা।
যে দু’টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিএনপির সমর্থন যারা নিশ্চিত করেছেন তারা হলেন- ৬নং ওয়ার্ডে পরিমল চন্দ্র দাস এবং ১০নং ওয়ার্ডে মাহবুবর রহমান লুলকা। মহিলা ওয়ার্ডে যারা দলীয় সমর্থন নিশ্চিত করেছেন তারা হলেন যথাক্রমে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে নিলুফা কুদ্দুস, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে স্বপ্না বেগম এবং ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রোকেয়া বেগম রঞ্জনা।
সাধারণ যেসব ওয়ার্ডে একাধিক নেতা দলীয় সমর্থন পেতে চান তাদের নাম নিচে দেওয়া হল-
১নং ওয়ার্ডেঃ আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান হিমু, জয়নাল আবেদীন ঠান্ডা, মইনুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। ২নং ওয়ার্ডে ঃ সেলিম মন্ডল, আসহাবুল ফেরদৌস ওয়াসিস, মানিক সরকার, মোজাম্মেল হক টিটু, তৌহিদুল ইসলাম বিটু, পুটু মিয়া, উজ্জ্বল হাসান এবং জহুরুল ইসলাম ফাইন। ৩নং ওয়ার্ডেঃ সালাম শেখ, ময়নুল হক বকুল এবং রাসেল কবির সামাদ। ৪নং ওয়ার্ডে ঃ তাজুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান বাবু, আঃ মান্নান, একে এম আজাদ এবং মানিকুর রহমান মানিক। ৫নং ওয়ার্ডে- আরিফুর রহমান পিন্টু এবং সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম বাবলা। ৭নং ওয়ার্ডে ঃ ফারুক আজম, দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, অধ্যক্ষ তানভীর আলম রিমন এবং সাইফুল ইসলাম রনি। ৮নং ওয়ার্ডেঃ মোসলেম উদ্দিন স্বপন, রেজাউল করিম লাবু এবং শরিফুল ইসলাম রতন। ৯নং ওয়ার্ডেঃ রেজওয়ান হাসান জেমস এবং আজিজুল হক মঞ্জু। ১২নং ওয়ার্ডেঃ সৌরভ হাসান, এনামুল হক সুমন এবং মেহেদী হাসান নয়ন। ১৩নং ওয়ার্ডেঃ মমিনুর রশিদ শাইন, ছাদেকুর রহমান (ছালু), জাহেদ হোসেন, হোসেন আলী, রেজাউল বারী আউয়াল, সায়েদুল ইসলাম সায়েদ, মোঃ সুরুজ্জামান এবং আঃ রশিদ। ১৪নং ওয়ার্ডে ঃ সাজ্জাদ হোসেন পিন্টু, আনোয়ার হোসেন আপেল, মিজানুর করিম মাসুদ এবং আঃ মজিদ ফকির। ১৫নং ওয়ার্ডে ঃ মাফুজার রহমান মাফু, রবিউল ইসলাম রতন, আবু সাইদ মন্ডল, আঃ মান্নান, এমদাদুল হক মিলন, ডাঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, আঃ রহিম এবং মিজানুর রহমান। ১৬নং ওয়ার্ডেঃ হারুন আর রশিদ সাজু এবং অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস। ১৭নং ওয়ার্ডেঃ সুজ্জাতুল আলম, গোলাম মোস্তফা, ইকবাল হোসেন রাজু, আলহাজ্ব আঃ গফুর, ফয়সাল আহমেদ এবং আবু বক্কর সিদ্দিক। ১৮নং ওয়ার্ডেঃ রাজু হোসেন পাইকাড়, শফিকুল ইসলাম শফিক এবং এস এম মোর্শেদ মিটন। ১৯নং ওয়ার্ডেঃ দেলোয়ার হোসেন মুক্তার, শরিফুল ইসলাম শামিম এবং জাকির হোসেন।২০নং ওয়ার্ডেঃ আব্দুল মালেক, খোরশেদ আলম, ইমান আলী সাজু, রোস্তম আলী এবং জুলফিকার আলী শেখ এবং ২১নং ওয়ার্ডেঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লা আল মামুন সরকার, মাসুদ সরকার কনক এবং ইসরাফিল হোসেন।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে যেসব ওয়ার্ডে একাধিক নারী বিএনপির সমর্থন চেয়েছেন তারা হলেন- ১০,১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয় গঠিত ৪ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডেঃ শাহিনুর এবং খোদেজা বেগম। ১৩,১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৫নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডেঃ শিরিন আক্তার শিল্পী, সোহেলী আক্তার, নয়ন তারা এবং মমতাজ বেগম। ১৬,১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডেঃ সুবর্ণা আক্তার মুক্তি, মিনারা বেগম এবং ১৯,২০ এবং ২১ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৭নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আবেদন করেছেনঃ মোকসেদা বেগম, হাওয়া বেগম, রেহেনা বেগম এবং রোকেয়া খাতুন।
বগুড়া শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হিরু জানান, মেয়র পদে একে প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিম বাদশার নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে। তবে চুড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য জেলা কমিটির সুপারিশসহ তাঁর নামটি কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। তফসিল ঘোষণার পর পরই একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে।’

সুত্র পুন্ড্রকথা