চলনবিলের সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-চাষীরা

181

এ এইচ খোকন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চলনবিলের নিম্নাঞ্চল এখন সরিষা ফুলে সমৃদ্ধ। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদের সমারোহ। বন্যার পানি নেমে যাবার পর ইরি ধানের চারা রোপণের পূর্বে এখানকার জমিতে বপন করা হয় সরিষা বীজ। সরিষা গাছ বড় হবার পাশাপাশি এর মাথায় ফোটে হলুদ ফুল। আর এই ফুলই মধু উৎপাদনের প্রধান উৎস। এলাকার বেকার যুবকরা সরিষা ক্ষেতে শুরু করেছে কৃত্রিম মৌ চাষ। মাগুরা,নওগাঁ ও বারুহাস ইউনিয়নের সরিষা ক্ষেতে প্রবেশ করলে দেখা যায় এরকম অসংখ্য খামার। পাশের একটি ফাঁকা জমিতে সাড়িবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌমাছির বাক্স। দিনের বেলায় মৌমাছি সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে মধু জমায়। এক সপ্তাহের মধ্যেই মধুতে ভরে ওঠে মৌ বাক্স। চোখে পড়ে এমনি এক মৌ খামার। এখানে ১৯০ টি বাক্সে মৌমাছি চাষ করা হয়েছে। খামারি হোসেন আলী (৪৫) বলেন, তার খামারে সপ্তাহে ১৪ মণ মধু উৎপাদন হয়। এর পিছনে লোক খাটে ৩ জন। এভাবে একটি মৌসুমে ১৪০ মণ মধু তিনি পান। এতে মোট খরচ হয় ৭০ হাজার টাকা। মৌসুমের সময় প্রতি কেজি মধু বিক্রি হয় ১৫০ টাকায়। ফলে খরচ বাদে তার আয় হয় ৬ লাখ টাকা।সরিষা ফুলের মধু যেমন খাঁটি তেমনি সুস্বাদু। মানের দিক থেকেও উন্নত হয়। এ মৌসুমে মধুর চাহিদাও বেশি থাকে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মধু উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য হয়। তবে মৌমাছি সংরক্ষণে অনেক সময় তাকে সংকটে পড়তে হয়। বিশেষ করে প্রচণ্ড শীতে অনেক মাছি মারা যায়।