মহাস্থান প্রেসক্লাবের বিপক্ষে একই নামে আহবায়ক কমিটি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

124

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বগুড়ার মহাস্থান প্রেসক্লাবের বিপক্ষে একই নামের ব্যানারে কিছু অপসাংবাদিকতায় অভ্যস্ত ব্যক্তি কর্তৃক আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবিষয়ে মহাস্থান প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মহাস্থান প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিছুর রহমান মিটুর সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতি আনিছুর রহমান মিটু জনান, মহাস্থান প্রেসক্লাব একটি আদর্শ নীতিগত গঠনতন্ত্র নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। মহাস্থান প্রেসক্লাবেরর নতুন নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রেসক্লাবে বগুড়ার সদরের নামুজা ইউনিয়নের তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী এক ব্যক্তি ছিল। যে সাধারণ জনগণকে বিপদের ভয় দেখিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বাহানা করে হাতিয়ে নিত মোটা অংকের টাকা। তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম প্রমাণ সাপেক্ষে তুলে ধরে প্রেসক্লাবের মিটিং এ সকল সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে বহিস্কার করা হয়। এরপর থেকে ওই সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি দেউলিয়া হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় তার একের পর এক অবৈধ অপকর্মের উৎস। সেখান থেকে ছিটকে অপর এক তথাকথিত একই ফর্মায় তৈরী সাংবাদিককে নিয়ে জুটি বেঁধে নির্বাচিত প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ প্রেসক্লাবের দায়িত্বশীল ৪জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী মুলক মামলা দায়ের করেন। এবং ওই মামলায় তিনিই ৩নং স্বাক্ষী হিসেবে জাহির করেন। মহাস্থান প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখেছেন। বর্তমানে তার মিশন ঐতিহাসিক মহাস্থান প্রেসক্লাবকে কলুষিত করা।

মহাস্থান প্রেসক্লাব নির্বাচিতর পর যখন মসল্লা গবেষণা হলরুমে বীরমুক্তি যোদ্ধা আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি কে প্রধান অতিথি করে, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু ও (ওসি) এস.এম বদিউজ্জানসহ ৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অতিথি করে অভিষেক করা হলো, মহাস্থান ত্রিমোহনী রোডের মোড়ে অস্থায়ী কার্যালয় নেয়া হলো, তখন থেকেই তার গায়ে জ্বালা আরো বেড়ে গেল।
প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে ভেবে ছিলাম তার শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু না, মহাস্থান নির্বাচিত প্রেসক্লাবের বিপক্ষে একই নামের ব্যানারে ২৫ সদস্য কথিত সাংবাদিক দেখিয়ে গত ৭ডিসেম্বর যে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা মহাস্থান প্রেসক্লাবের কেউ না। বা কোন দিন তাদের দেখা তো দূরের কথা নাম পর্যন্ত শুনি নাই। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম, বদিউজ্জান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ, লাহিড়ীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাফতুন আহম্মেদ, রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্বিধাবিভক্ত মহাস্থান প্রেসক্লাবকে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে যে ঐক্যবদ্ধ মহাস্থান প্রেসক্লাব চলমান রয়েছে এটির বিপক্ষে তার অবস্থান।
যে সভাপতি আনিছুর রহমান মিটু সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এসআই সুমনের নেতৃত্বে মহাস্থান প্রেসক্লাব যখন উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে তখনি জন বিছিন্ন হওয়া ব্যক্তিগুলো সাংবাদিকের পরিচয় ঘটিয়ে একটি বৈধ প্রেসক্লাবের বিপক্ষে তাদের অস্তিত্ব টিকাতে একই নামে অপর একটি অবৈধ প্রেসক্লাব দ্বার করাতে চায়।
মহাস্থান প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল বাছেত বলেন, ১৯৯৮ইং সালে মহাস্থান প্রেসক্লাব আমি গঠন করেছি। তখন থেকেই এই প্রেসক্লাবের সাথে আছি। বর্তমান প্রেসক্লাবের বিপক্ষে একই নামে যে আহবায়ক কমিটি গঠনে যাদের নাম শুনছি তারা মহাস্থান প্রেসক্লাবে কোন দিন সংশ্লিষ্ট ছিল না। বা কাউকে চিনি না। মহাস্থান প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত ২/১জন তাদের সাথে জড়িত।
মহাস্থানের নির্বাচিত প্রেসক্লাবের বিপক্ষে অবস্থানকারী কথিত টাউট বাটপার ব্যক্তিদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে জনমনেও নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। মহাস্থান এলাকায় বহিরাগত ব্যক্তিরা একই নামে প্রেসক্লাব গঠন করে অপসাংবাদিকতা চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এতে সকল প্রকার বিভ্রান্তির অবসান হবে বলে সচেতন এলাকাবাসী মনে করেন।