আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস

219

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ আজ (শনিবার)। ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি রূপকল্প ২০২১ এর মূল উপজীব্য। যার বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। সেই হিসাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের একযুগ পূর্তির দিন আজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও আধুনিক চিন্তা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে উদ্ভূত ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের ১২ বছর পূর্ণ আজ।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইসিটি বিভাগের অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থা ও এটুআই প্রোগ্রাম বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। প্রণয়ন করেছে আইন, নীতিমালা, বিধিমালা ও স্ট্র্যাটেজি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিজুয়াল কালার ভার্সন ও বিশ্বসেরা এই ভাষণের ২৬টি নির্বাচিত বাক্য দেশের ২৬ জন খ্যাতিমান লেখকের দ্বারা বিশ্লেষণ করিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ডিজিটাল ভার্সনে (মোবাইল অ্যাপ ও ই-বুক) রূপান্তর।

জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন রূপান্তর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘মুজিব হান্ড্রেড’ ওয়েবসাইট এবং ‘মুজিববর্ষ’ লোগো তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যালোইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়া বড় অর্জন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দিবস উদযাপন উপলক্ষে বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, ১৭ কোটি মানুষের। ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের জনগণ করোনা মহামারিতেও সংযুক্ত থাকতে পেরেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত, সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।।