নিরবে নিভৃতে মানুষের জন্য কাজ করছে বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিলন সিআইপি

157

সাজ্জাদ হোসেন পল্লব:“সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” এ নীতি কথাতে মনে প্রাণে লালন করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রচারবিমুখ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিআই এর পরিচালক মাসুদুর রহমান মিলন সিআইপি। বগুড়ার প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন এর কনিষ্ঠ পুত্র মাছুদুর রহমান মিলনকে অহংকার কখনই স্পর্শ করেনি। সঠিক চিন্তা চেতনায় অটল, অন্যায়কে মেনে নেয়া পাহাড়সম কষ্টের সামিল। ফলশ্রুতিতে দেখা গেছে খুব কাছের মানুষগুলোর ভুলভ্রান্তি, শুধরানোর ক্ষেত্রে স্পষ্ট বাক্যে হরহামেশাই বলায় কষ্ট অনুভব করে থাকে। একটু মনোক্ষুন্ন হলেও কাছের মানুষগুলোর পরবর্তীতে আশীর্বাদ হিসেবে স্থান পায় তারই স্পষ্ট বাক্যগুলো। তাঁর সাদাসিধে মানসিকতার বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে নিরবে নিভৃতে মানুষের জন্য কাজ করা। ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ। একজন মেধাসম্পন্ন ছাত্র অর্থের অভাবে উচ্চ শিক্ষা হতে বঞ্চিত হতে পারে। মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্থ হলে এ জাতি অনেক পিছিয়ে পড়বে। তারই দুরদর্শিতা ও দুরদৃষ্টিতার ফসল বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির উদ্যোগে জেলার গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা। “ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল” অর্থাৎ জেলার ক্ষুদ্র প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের বগুড়া চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রি হতে ঋণ প্রদান করে তাদের ব্যবসায়িক সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য যে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে যা বেকারত্ব লাঘব, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদান ভবিষ্যতে তারাও যেন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এ ধরণের প্রয়াস অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ, মানুষকে ভালবাসা ও মানুষকে সেবার মানসিকতা সম্পন্ন চিন্তা চেতনার বহি:প্রকাশ মাত্র। তার বাবাকে স্মৃতির পাতায় স্বর্ণাক্ষরে গেথে রেখেছে বগুড়াবাসী। এ ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। এটিকে বিবেচ্য রেখে বাবা মায়ের নামে মমতাজ মাছুমা ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে অসহায়, অস্বচ্ছল, ত্যাগী রাজনীতিবিদ, অবহেলিত নারী পুরুষ, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা সহ জেলার ছিন্নমুল জনগোষ্ঠীকে নিজস্ব অর্থায়নে সহযোগীতায় অব্যাহত রেখেছেন যা ভাল মানসিকতা ও পরোপকারী চিন্তা চেতনার বহি:প্রকাশ। তাঁর সততা ন্যায় নিষ্ঠতা, দেশপ্রেম, একাগ্রতা শুধু বগুড়া নয় দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। তিতিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হয়ে ক্রীড়া অঙ্গনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেছেন। বিশেষ করে যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস হতে মুক্ত করার লক্ষ্যে তাদের ক্রীড়া মনে সম্পৃক্ত করার নিমিত্তে তাঁর প্রয়াস প্রচন্ড রকমের। যে কোন এলাকার ক্রীড়াঙ্গন সমৃদ্ধশালী করতে যে কোন ধরণের সহযোগীতায় তার জুড়ি নেয়। বগুড়ার ক্রীড়া অঙ্গন আজ অনেক সমৃদ্ধশালী দেশের মধ্যে অন্যতম। এজন্য সবচেয়ে বেশি অবদান শান্ত প্রকৃতির মানুষ যিনি আমাদের সবার প্রিয় মাসুদুর রহমান মিলন। তাঁর মতো মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ নিজেদের স্যার বললে খুব বেশি খুশি হন, অথচ ভাই সম্বোধনে তিনি খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ, ভ্রাতৃত্ববোধের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমের দ্বার উন্মোচন করা সম্ভব বলে তিনি দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তিনি ব্যবসায়িক সংগঠন বগুড়া চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিআই’র পরিচালক হয়েই সঠিক ভাবে কর প্রদানের মধ্য দিয়ে সেরা করদাতা পুরষ্কারে বেশ কয়েকবার ভূষিত ও পরপর ৪বার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা, বিচক্ষনতা ও অভিজ্ঞতা বগুড়াবাসীকে করেছে দেশবাসীর নিকট সমাদৃত। তিনি প্রচারে বিশ্বাসী নন। মানবসেবা মুখ্য হিসাবে স্থান করে নিয়েছে তার হৃদয়স্পটে। পরিচিত, অপরিচিত ও সুপরিচিত যেই হোক না কেন যেকোন প্রকার সহযোগীতা চাইলে তার আন্তরিকতার ঘাটতি থাকে না। বিশেষ করে নিজের ঢাকঢোল নিজে বাজাতে অভ্যস্ত নন, নিরবে নিভৃতে সহযোগীতা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রি হতে যে সহযোগীতা করেছেন বগুড়াবাসী অবশ্যই হৃদয়ের মনিকোঠায় গেঁথে রাখবে। এমন ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ স্বার্থ ছাড়া যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায় বগুড়াবাসীর উচিত সে মানুষটিকে জাতীয় সংসদে এ জনপদের প্রতিনিধি ও দলীয়ভাবে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা। তিনি বর্তমানে বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি, এফবিসিসিআই’র পরিচালক, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য ষ্টেশন ক্লাব, রাইফেলস্ ক্লাব, বগুড়া ডায়াবেটিস সমিতি সহ অসংখ্য সেবামূলক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।