বগুড়া জেলার কৃতি সন্তান “রাব্বিকে” গিফট ও ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা প্রদান

169

রাশেদ নিউজ বগুড়া-

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের নামাজগড় ওয়ালটন প্লাজা শোরুমে, মেসার্স এমিলী এন্টারপ্রাইজ গাবতলী-স্বত্বাধিকারীর সঞ্চালনায়,
বগুড়া জেলার কৃতি সন্তান সুবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ১৩ বছর ৬ মাস বয়সী রাব্বি রহমান গত সোমবার(৩০ নভেম্বর) বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত(১৫)তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিয়ে সবার আগে সাঁতার শেষ করে। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশী সাঁতারুদের মধ্যে রাব্বি সর্ব কনিষ্ঠ। রাব্বি ১৩ বছর বয়সেই ১৬.১ কিঃমিঃ বাংলা চ্যানেল (টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন) সাঁতারে পাড়ি দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।
সেই রাব্বি রহমানকে ওয়ালটন গ্রুপের গিফট ও ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা প্রদান করেন, বিকাশ চন্দ্র সরকার (আর,এস,এম) ম্যানেজার ওয়ালটন প্লাজা।

রাব্বির এই সাফল্যর কারণ-তার বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন…

২০০৭ সালের ১২ আগস্ট বগুড়ায় জন্ম রাব্বির। বর্তমানে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় বসবাস। সুবিল হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আমি আলালুর রহমান স্থানীয়ভাবে সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করি। তবে মূল কাজ বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া স্ট্যান্ডে ঢাকাগামী বাসের টিকেট বিক্রেতা। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে রাব্বির সাঁতারে হাতিখড়ি আমার কাছে।

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে কক্সবাজারের টেকনাফে হাজির হয়েছিলেন ৪৩ জন। শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছতে পেরেছিলেন ৪০ জন। এদের মধ্যে সবার আগে এই সাগর পথ পাড়ি দিয়েছে আমার ছেলে রাব্বি রহমান। ১৩ বছর বয়সী এই ছেলে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট।

সবচেয়ে কম বয়সী সাঁতারু হিসেবে ১৬.১ কিলোমিটার চ্যানেল পাড়ি দেয়ায় ছেলেকে নিয়ে বেশ আশাবাদী আমি। এই সাফল্য দেখে আমার চাওয়া দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাক আমার ছেলে।

‘আমার ছেলে প্রথমবার ২০১৪ সালে জেলা পর্যায়ে অংশ নেয়। এর পর বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন ইভেন্টে জাতীয় পর্যায়ে ২০১৬ সালে ব্রোঞ্জ, ২০১৭ সালে স্বর্ণ, ২০১৮ সালে স্বর্ণসহ একাধিক পদক পায়। ২০১৯ সালে শিশু অ্যাকাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণ পদক নিয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়নও সে।

রাব্বির কথায়ঃ ‘বাংলা চ্যানেলে নামার আগে ভাবিনি এটা পাড় করতে পারলে সবার এত সাড়া পাবো। সেন্ট মার্টিন যখন পৌঁছাই এর কিছুক্ষণ পর টের পাই সবার উল্লাস দেখে টের পাই কিছু একাটা করতে পেরেছি। আগেও অনেক পদক পেয়েছি। তবে এটা আমার জীবনের বিশেষ দিন।’

‘ঠিক মতো পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে চাই। সেনা বাহিনী অথবা নৌ-বাহিনীতে কাজ করার ইচ্ছা আমার। এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছি। আমি চাই সাঁতারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে। সুযোগ পাইলে ইংলিশ চ্যানেলও পাড়ি দিবো। আমার স্বপ্ন ধাপে ধাপে সাফ গেমস, এশিয়ান গেমস, অলিম্পিকে অংশ নেয়া। সেখান থেকে স্বর্ণ জয় করা।’

এসময় ম্যানেজার বিকাশ চন্দ্র – রাব্বি ও তার পরিবারবর্গের প্রতি আশ্বাস্ত করে বলেন, আমাদের ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আগামীতে আর্থিক অনুদান প্রদান সহ সকল ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
রাব্বিদের মতো কিশোররা ভবিষ্যতে দেশের জন্য ভালো কিছু করুক। এটাই আামাদের প্রত্যাশা।

এতে উপস্থিত ছিলেনঃ এনামুল শেখ, আকবর শেখ হৃদয়, হোসেন, আকাশ, কাইয়ুম, শফিকুল, রাজু হোসেন পাইকাড় সহ ওয়ালটন প্লাজা গ্রুপের সদস্যবৃন্দ।।