বুদ্ধিজীবীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা-সাবেক এমপি লালু

111

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, বুদ্ধিজীবীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা। দেশের এ সব সূর্য সন্তানদের হত্যা জাতী হিসাবে আমাদের জন্য দূর্ভাগ্য। পরিকল্পিত হত্যার শিকার ’৭১’র ডিসেম্বরের মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছি গভীর বেদনা ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীরা আজও আড়ালেই থেকে গেলো। আমরা তাদের বিচার করতে পারিনি। দেশকে মেধাশূন্য করতেই এই হত্যাকান্ড চালানো হয়। সেই হত্যাকান্ড থেকে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক কেউ রেহাই পায়নি। সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের বুঝতে হবে আসলে কারা এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করছে। জাতীর কাছে পরিস্কার করতে হবে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা কাদের দ্বারা হতে পারে। জাতীর কাছে যুক্তি প্রমান দিয়ে তুলে ধরতে হবে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড ও তাদের উপর নির্যাতন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশে এখনো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ও নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আজকে মানুষের অধিকার নাই, ভোট দেয়ার অধিকার নাই, জনগন অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন নয়। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দেশে আইন নেই, আইনের শাসন নেই, বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে দলীয়করণের কারণে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সরকার ধবংস করে দিয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সাবেক এমপি লালু আরো বলেন, ‘যে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং যে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, কথা বলার স্বাধীনতা চাই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। এই দিনে শপথ নিচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অবরুদ্ধ। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। মুক্তচেতনার স্বাধীনতা নেই। বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বাদশা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, লাভলী রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সহিদ উন নবী সালাম, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, মনিরুজ্জামান মনির, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এ বি এম মাজেদুর রহমান জুয়েল, শ্রমিকদলের সাইদুর কবির, নাজমা আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, আহসান হাবিব মমি, আদিল শাহরিয়া গোর্কীসহ নেতৃবৃন্দ।