যৌনকর্মী বানানোর অভিযোগে শিবগঞ্জ থানার ওসি-এসআই’র বিরুদ্ধে মামলা

132

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে পাল্টা তাকে যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেওয়ায় শিবগঞ্জ থানার ওসি ও এসআই’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন শিবগঞ্জ উপজেলার জান গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম। মামলায় আসামি করা হয়েছে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান ও এস আই রতন কুমার। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে একজন ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্তের জন্য বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমনের সাথে বাদীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিমনের পরিবার রাজি না থাকায় বাদী তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও রিমন বাদীর মেয়ের সাথে ফোনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। স্বামী বাড়িতে না থাকায় রিমন গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে বাদীর মেয়ের বাড়িতে ঢোকে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় পিরব ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বাড়িতে ঢুকে রিমন ও বাদীর মেয়েকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও এসআই রতন কুমার রায় দু’জনকে আটক করে নিয়ে যান। থানায় রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরে দু’জনকে দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় মামলা দিয়ে (পতিতাবৃত্তি) আদালতে চালান দেওয়া হয়। পরে আদালত দু’জনকে জামিনে ছেড়ে দেন। বাদীর অভিযোগ ‘এসআই রতন কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পরেও ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে তাদের সম্মান নষ্ট করেছেন। একারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

বাদীর আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারন আইনের ১৩ ও১৫ ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।