শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বগুড়া জেলা প্রশাসনের মোমবাতি প্রজ্বলন

125

অসীম কুমার কৌশিক ও আব্দুল আউয়াল

মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মোমবাতি জ্বালিয়ে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের অদূরে সদরের কৈচড়ের ফাঁপোর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ‘কৈচড় বধ্যভূমিতে’ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞাঁ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না ও ফাঁপোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহরম আলী। এছাড়াও স্থানীয় জনতা মোমবাতি প্রজ্বলনে অংশ নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান।

মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধা-মনন শূন্য করে তোলার নীল নকশা করে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী। তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

বগুড়া সদর উপজেলার ১ নম্বর ফাঁপোর ইউনিয়নের ‘কৈচড় বধ্যভূমি’তে যে ২৬ জন শহীদ শায়িত আছেন তাঁরা হলেন-  চেলোপাড়ার কালিপদ সিংহ, কর্ণ প্রসাদ সিংহ, গজেন্দ্রনাথ সিংহ, শ্যামল চন্দ্র সিংহ, শ্রীবাস দাম, গোলক চন্দ্র দাম, ননী চন্দ্র দাম, নিতাই চন্দ্র দাম, পল্লাদ চন্দ্র দাম, সুধাংশু চন্দ্র দাম ও সুধীর চন্দ্র দাম, ধোপাপাড়ার গুপি চন্দ্র দাম, গোবিন্দ মহন্ত, নিতাই চন্দ্র দাম ও হরি দত্ত, রঘুনাথপুরের গনেশ চন্দ্র ও বিনয় চন্দ্র সাহা, ডোমন গ্রামের নগেন্দ্র নাথ সাহা, নারায়ণ চন্দ্র প্রাং ও হীরেন্দ্র নাথ সাহা এবং কাটনারপাড়ার গৌর গোপাল মহন্ত। এছাড়াও ৫ জনের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায় নি।

ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বী বলেন ‘বাবার মুখে শুনেছি এই বধ্যভূমিতে ২৬ জন শহীদ বুদ্ধিজীবী শায়িত আছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে তাঁদের হত্যা করে।’