সুন্নত পালন করে জেল-ফাঁসিতেও আপত্তি নেই অভিনেতা সিদ্দিকের

110

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

‘ছেলের সুন্নতে খতনা করানো প্রতিটি মুসলিম বাবার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করেছি আমি। এটা ইসলাম ধর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এই সুন্নত পালন করতে গিয়ে যদি আমার জেল বা ফাঁসিও হয় তবে হোক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই’- স্ত্রীর অভিযোগের জবাবে এভাবেই বললেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান।

অনুমতি ছাড়া ছেলে আরশ রহমানের খতনা করিয়েছেন সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন সাবেক স্ত্রী মারিয়া মিম। এই অভিযোগে তিনি প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন বলে জানিয়েছেন মিম। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে তিনি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেছেন। এর জিডি নম্বর ৮১৮।

এর আগে ছেলের খতনার বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে মারিয়া মিম বলেন, ‘আমাকে সিদ্দিক ফোন দিয়ে বলল, বাবুকে আজকে দাও, একটা বিয়ের প্রোগ্রামে যাব। আমি বললাম, ওকে ফাইন। দিয়ে আসলাম বাবুকে সুন্দর করে রেডি করে। একটু আগে ফোন দিল, সাউন্ড পাচ্ছি বাবু কান্না করতেছে।

আমি বললাম, কী হইছে? সিদ্দিক বলল, ওরে তো সুন্নতে খতনা করালাম। ওহ, মাই গড, আমি জানতে পারব না, ওরা আমার বাচ্চাকে নিয়ে যা খুশি করতে পারে না। সুন্নতে খতনা করায়ে দিল! এটা তো একটা ক্রাইম।’

ফেসবুক মারিয়া মিম আরও লেখেন, ‘যেখানে কোর্ট অর্ডার বাচ্চা মর্নিংয়ে যাবে এবং ইভিনিংয়ে চলে আসবে, জাস্ট থাকবে কিছুক্ষণ। আর সেখানে সে এত বড় ডিসিশন নিয়ে নেবে উইদাউট মাই পারমিশন?’

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিনেতা সিদ্দিক গণমাধ্যমে তিনি বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন ‘গ্রাজুয়েট’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসা সিদ্দিকুর রহমান। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তাদের সংসারে জন্ম নেয় ছেলে আরশ রহমান। সেই সুখের সংসার ভেঙ্গে যায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।

এরপর থেকে সন্তান আরশ মা ও বাবার কাছে থাকছে আদালতের নিয়মে।