বগুড়ার শাজাহানপুরে জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ওসি-এসিল্যান্ড!

123

শাজাহানপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করতে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশিক খান ও শাজাহানপুর (ওসি) আজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এভাবে জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠে অসম্মান করায় স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সোমবার সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা পারভীন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান এম সুলতান আহমেদ, নারী ভাইস হেফাজত আরা মিরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ওসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালেবুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শুরু হওয়ার সময় উপস্থিত ব্যক্তিরা স্মৃতিসৌধের বেদীতে উঠে মোমবাতি প্রজ্জলন করেন। এ সময় তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্জলনের পরে এসব ছবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক প্রকাশ করা হয়। এ ছবিতে দেখা যায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশিক খান ও ওসি আজিম উদ্দীন জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধের বেদীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

জুতা পরে স্মৃতিসৌধের বেদীতে উঠার বিষয়ে জানতে চাইলেন আশিক খান বলেন, ‘এটা অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডাক দেওয়ায় তাড়াহুড়ো করে বেদীতে উঠে পড়ি। পরে পাশে থাকা কেউ একজন আমাকে জুতা পড়ে উঠার বিষয়ে বলেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে আবার বেদীতে উঠি।’

ভুলবশত স্মৃতিসৌধের বেদীতে উঠছেন বলে জানান শাজাহানপুর থানার ওসি আজীম উদ্দিনও। তার ভাষ্য, ‘কিছু সময়ের জন্য জুতা পড়েছিলাম। পরে আশেপাশের লোকজন বলার পরপরই জুতা খুলে ফেলি। ভুলবশত এটা হয়ে গেছে।’

জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠার ঘটনাকে খুব দুঃখজনক বললেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ ‍কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ ওই কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার দরকার, এ জন্য তারা সেখানে ছিলেন। আসলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে এমনই হয়। ’

শাজাহানপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌর গোপাল গোস্বামী মোবাইলে বলেন, ‘আশ্চর্যজনক বিষয়। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। এটা কারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ’

উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, ‘এমন ঘটনা খুব লজ্জাজনক। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।।