স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান আকন্দসহ ২০জনের বিরুদ্ধে হামলা, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগ এনেছেন শহরের সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলম। ষ্টেশন রোড এলাকার ফল ব্যবসায়ী মনসুর আলম সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মলনে ওই অভিযোগ উত্থাপন করেন। একই অভিযোগে তিনি গত ২০ ডিসেম্বর আব্দুল মান্নান আকন্দসহ ২০জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনসুর আলম বলেন, বগুড়া ষ্টেশন রোড সংলগ্ন দক্ষিণে ১২টি দোকানের জন্য মোট ৫৪ লাখ টাকা বিভিন্ন রশিদ মূলে মান্নান আকন্দকে দেয়া হয়। পরে দোকান ঘরগুলো সংস্কারের জন্য আরও নগদ ৪ লাখ টাকা দেয়ার পর উল্লেখিত ১২টি দোকানের পজিশন বুঝিয়ে দেয়। পরে রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট মার্কেট, ফলপট্টি নতুন করে নির্মাণের পূর্বে ওই স্থানে আমি বাংলাদেশ রেলওয়ের থেকে লীজ মূলে বরাদ্দ পেয়ে সকল খাজনাদি পরিশোধ করে দখন ভোগ করতে থাকি।
তিনি বলেন, রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট মার্কেটের ওই ১২টি দোকান পাওয়ার পর থেকে আব্দুল মান্নান আকন্দ আমার দোকানগুলো বেআইনীভাবে দখল করার জন্য হুমকি দেয়া শুরু করে। এই অবস্থায়, গত ৮ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আব্দুল মান্নান আকন্দ, আব্দুস সামাদ মিঞা, মহিদুল ইসলাম, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫জন আমার অনুপস্থিতিতে দোকান ঘরের তালা ভাংচুর করে বেদেখল করার চেষ্টা করে। তখন আমি থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের বেআইনী কাজ প্রতিরোধ করি।
তাকে হত্যাচেষ্টা ও হুমকি দেয়া প্রসঙ্গে মনসুর আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় মান্নান আকন্দসহ অজ্ঞাতনাম ১৫জন ব্যক্তি আমার দোকানে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারপর তাদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড দিয়ে আমার শরীরে, মাথায়, বুকে এবং হাতে পায়ের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। পরে আব্দুল মান্নান আকন্দ হত্যা করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে গেলে আমি রক্তাক্ত জখম হই। পরে আমার হাতে-পায়ে আব্দুস সামাদ, মহিদুল ইসলাম এবং সোহাগ আমাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে দোকানের বিভিন্ন ধরণের ১০০ কার্টুন ফল নষ্ট করে। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা। তখন আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণে বেঁচে যাই এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিই।
এ প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন ‘মনসুর আলমের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই। ষ্টেশন রোডে সামাদ ফল ভান্ডারের সাথে মনসুর আলমের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেটি মীমাংসা করার জন্য ওখানে যেয়ে আমি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরি।’