বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
ভারতের শীতার্ত মানুষের জন্য দুই হাজার কম্বল পাঠানোর আশা প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর কাদির আহমেদ ও গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে শীতের প্রবাহ বাড়ছে, তাপমাত্রা কোনো কোনো স্থানে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের আহ্বান, তারা যেন অসহায় শীতার্ত জনগণকে সহযোগিতা করেন। আমাদের এ কম্বলগুলো বড় করে তৈরি করা হয়েছে। একটা কম্বলে পরিবারের কয়েকজন থাকতে পারবেন। এসব কম্বল আবার তৈরিও করেছেন গরিব মানুষেরাই। গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং দুই-একজন ব্যবসায়ী এসব কম্বল দেওয়ার জন্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল পল্লীসহ উত্তরবঙ্গে আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।
ভারতের শৈত্য প্রবাহের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে শীত প্রবাহে ৩৭ জন কৃষক মারা গেছেন। ভারত সরকার আমাদের অনুমোদন দিলে ভারতের কৃষকদের জন্য আমরা দুই হাজার কম্বল পাঠাতাম। ভারতের মোদী সরকার তার দেশের জনগণকে অবহেলা করছে। আমাদের সারা পৃথিবীর বিষয়টা স্মরণ রাখতে হবে। তারপরও আমাদের দেশ ও মানুষ প্রথম বিবেচ্য বিষয়। তাই দেশের দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই মিলে এ দুর্দশা অতিক্রম করতে হবে।
আজ আমরা একটা বিশেষ ধরনের সহযোগিতা করছি মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেমদের। ওনারা ওয়াজ মাহফিল করে সবার কথা বলেন, কিন্তু নিজেদের জন্য লজ্জায় চাইতে পারেন না। রূপনগর ও আশুলিয়া বেড়িবাঁধ অঞ্চলের ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেমদের পরিবারের জন্য আমরা একটি করে কম্বল দিচ্ছি, যোগ করেন তিনি।
ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অকারণে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করবেন না। দরিদ্র মানুষের মুক্তি ও সাহায্যের জন্য খোদার কাছে দোয়া করেন। শীতে যেন কোনো মানুষ না মারা যান, সেজন্য আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমরা সবার সহযোগিতাও চাই।