বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে সরকার অনুমোদিত কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলেও এ নাম ব্যবহার করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, নীলফামারীর সৈয়দপুরের বঙ্গবন্ধু সড়ক। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর তা নজরে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। এই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তথ্য ইউজিসিতে আসে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ইউজিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) পরিচয়দানকারী অধ্যাপক ড. এ বি এম শরিফুজ্জামান শাহ সম্প্রতি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে জনবল নেওয়া হবে উল্লেখ করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে সংসদ সদস্য (৩২৩ মহিলা আসন) রাবেয়া আলীমকে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সংবাদ, জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয় ইউজিসি’র দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও চাকরিপ্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে সর্তক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। আগ্রহীরা প্রয়োজনে ইউজিসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ও অনুমোদিত প্রোগামের তালিকা অবলোকন করতে পারেন।
অস্তিত্ববিহীন এ প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চেয়েছে ইউজিসি। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইউজিসি।
ইউজিসি জানায়, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। কাজেই এসব পদে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে নিয়োগ দিলে তা হবে সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। এছাড়া উপাচার্যবিহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রদত্ত সার্টিফিকেটও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।