আদালতের বারান্দায় দুই শিশুর কান্না

118

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

পারিবারিক কলহের জেরে নানীর করা মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন দুই শিশুর মা ওয়াসিমা খাতুন। তবে বাবা মোঃ তোফায়েলকে জামিন দেয়া হয়নি।

রাজধানীর বংশাল থানার ওই মামলায় গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) এই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

পাঁচদিন ধরে মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন আড়াই বছরের ইয়াছিন ও সাড়ে তিন বছরের টুম্পা। মা-বাবাকে কারাগার থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে প্রতিবেশীর হাত ধরে গতকাল মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) শিশু দুটি পা রাখে আদালতে। কান্নাকাটি করে আদালতের বারান্দায়। বিষয়টি গণামাধ্যমে প্রচারের একদিন পর দুই শিশুর মাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জামিনের এ আদেশ দেন। জামিনের আদেশটি দ্রুত ই-মেইল ও ফ্যাক্সে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, দুই শিশুর নানী মোমেনা বেগম পারিবারিক কলহের জেরে নিজের মেয়ে ওয়াসিমা বেগম ও তার স্বামী মোঃ তোফায়েলের বিরুদ্ধে চুরি ও মারধরের মামলা করেন। আর এ মামলায় গত শুক্রবার থেকে কারাগারে শিশুদের বাবা-মা। সেই থেকে শিশুদের দেখার কেউ নেই। বংশালের প্রতিবেশীদের ঘরেই আশ্রয় নিয়েছে দুই শিশু। তাদের হাত ধরেই দুই ভাই বোন বাবা-মায়ের জামিনের জন্য বিচারক মোঃ মামুনুর রশিদের আদালতে গিয়েছিল।

কিন্তু এদিন দুই শিশুটির বাবা-মাকে জামিন দেননি বিচারক। উল্টো শিশুরা আদালতের ভেতরে কান্নাকাটি করায়, দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যকে শোকজ করেছিলেন আদালত।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ, শিশির মনির ও কুমার দেবুল দে। শুনানি শেষে আদালত দুই শিশুর মাকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেন এবং একইসাথে তাদের বাবাকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর আমরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাথে যোগাযোগ করেছি। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে শিশুদের মাকে মুক্তি দিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।