বাংলাদেশের অনন্যা সেরা ১০ বিজ্ঞানীর একজন

360

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

নাসায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটলাস তৈরি করা তরুণী তনিমা তাসনিম অনন্যাকে নিয়ে বিশ্লেষকদের মুগ্ধতা দিনে দিনে বাড়ছে। সায়েন্স নিউজ নামের একটি গণমাধ্যমের বাছাই করা ১০ বিজ্ঞানীর তালিকায় রাখা হয়েছে তাকে। কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। সম্প্রতি সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমটির বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদ বিভাগের কর্মীরা বছরের আলোচিত তরুণ বিজ্ঞানীদের নিয়ে এ প্রতিবেদনটি করেছেন।

‘এসএনটেন : সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় শুরুতেই স্থান পেয়েছেন তনিমা তাসনিম।

সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে লেখা আছে, ‘তনিমা তাসনিম একজন মহাকাশবিজ্ঞানী। বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। একসময় ঢাকার বাসিন্দা তনিমা কৃষ্ণগহ্বরের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকেছেন। তাতে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে কৃষ্ণগহ্বরগুলো বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশে কী প্রভাব রাখে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে তিনি এ কাজ করেছেন।’

সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, পাঁচ বছর বয়সে ঢাকায় থাকার সময় থেকেই তনিমা তাসনিমের মধ্যে মহাকাশের স্বপ্ন বুনে দেন তার মা। তিনি মেয়েকে তখন শোনাতেন মঙ্গলে অভিযানে যাওয়া পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের গল্প। সেই থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তনিমার। ওই সময় থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখতেন। তাসনিমের বাবা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম।

তনিমা তাসনিম এর আগে নাসা ও সার্নে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এ ছাড়া কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তনিমা।

সায়েন্স নিউজ হলো একটি আমেরিকান দ্বি-সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন যা নতুন বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত বিকাশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত নিবন্ধগুলোতে নিবেদিত, সাধারণত সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জার্নাল থেকে সংগ্রহ করা। এই প্রতিষ্ঠান ছয় বছর আগ থেকে তরুণ ও ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি থাকা বিজ্ঞানীদের একটি শীর্ষ তালিকা প্রস্তুত করে আসছে। এই তালিকায় ৪০ বছর বা তার কম বয়সী বিজ্ঞানীরা স্থান পেয়ে থাকেন। এবার সেই তালিকাতেই বাংলাদেশি তনিমা তাসনিম জায়গা করে নিলেন।