এম.এ রাশেদ,
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ধনারপাড়া ও সদর উপজেলা বোয়ালী ইউনিয়নের কয়ারপাড়া গ্রামের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারি ধনারপাড়া গ্রাম সংলগ্ন সেতুটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশের কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এছাড়া সেতুর দু’পাশে মাটি না থাকায় সেতুটি মানুষের পথ চলাচলে কোনো কাজে তো আসছে না। উল্টো তা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থ সহায়তায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয়ে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের ১৭ জুন সেতুটি উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
সেতুটি নির্মাণকালে দু’পাশে সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় তখন থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। সেতুটির দু’পাশে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর পার্শ্ববর্তী জমির আইল দিয়ে চলাফেরা করছে ওই এলাকার লোকজন। এই সেতু দিয়ে ধনারপাড়া, চন্দিয়া, হোসেনপুর, কয়ারপাড়া, ছয়ঘরিয়া, বোয়ালী সহ ১০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি নির্মাণের সময় সংযোগ সড়কে তেমন মাটি দেয়া হয়নি। সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সংযোগ সড়ক সংস্কার করা হয়নি। ওই এলাকার লোকজন শুকনো মৌসুমে হেঁটে বিপল্পপথে জমির আইল দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেতুটির পাশ দিয়ে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়ে।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শহীদুজ্জামান শামীম বলেন, সেতুটি দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জাইকা প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রস্তাবনা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন পেলেই কাজ করা হবে।