বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে পিতা মাতাকে মারপিটের অভিযোগ

129

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আবারও পিতা মাতাকে মারপিটের অভিযোগ বগুড়া গাবতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারুক আহম্মেদের বিরুদ্ধে। শুধু মারপিট নয় তাদেরকে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় তার পিতামাতা সহ পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে এমন অভিযোগ করেন ফারুকের পিতা গাবতলীর উনছুরকী গ্রামের তোজাম্মেল ফকির ও তার মা ফাতেমা বেগম।

লিখিত বক্তব্যে ফারুকের পিতা তোজাম্মেল ফকির জানান, স্বেচ্ছাচারী সন্তান ফারুক রাজনৈতিক ভাবে সমাজে পরিচিত হলেও পারিবারিক ভাবে সে বিভিন্ন ভাবে পিতা মাতাকে নির্যাতন করে থাকে। সে বিভিন্ন সময় কারনে অকারনে আমাকে ও তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করে থাকে। এসকল ঘটনার ধারাবাহিকতায় আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তাছে ফারুকের ব্যাপারে অভিযোগ করলে তাকে দলথেকে বহিস্কার করা হয়। পরে কৌশলে ফারুক আমাকে ও তার মাকে ভূল বুঝিয়ে অভিযোগ তুলে নেয়ায়।এমনি ভাবে গত ৭/১২/২০ তারিখে ফারুক আমাকে গালিগালাজ করে ঘরথেকে বের হয়ে আসতে বলে। আমি তাতে অসন্মতি জানালে সে আমার গায়ের চাদর গলায় পেঁচিয়ে জোর করে ঘরথেকে বের করে নিয়ে আসে। এসময় তার মা এগিয়ে আসলে ফারুক তার মাকে লাথিমেরে মাটিতে ফেলেদেয় এবং ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প বেরকরে দিয়ে তাতে স্বাক্ষর করে বাড়ি থেকে বেরহয়ে যেতে বলে। আমি তাতে অস্বীকৃতি জানালে ফারুক কাঠের বাটাম দিয়ে আমাকে মারপিট করে। এসময় তার সহযোগীর হাতেথাকা বার্মিজ চাকুদিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে।

এসময় আমার স্ত্রী ফারুকের মা এগিয়ে এলে তাকেও  গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ফারুকের মা কান্না করতে থাকলে ফারুকের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন তার পড়নের কাপড় টানা হ্যাচরা করে বাড়ির বাহিরে নিয়ে যেতে থাকে ও কিলঘুষি মারতে থাকে। এসময় ফারুক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। ফারুকের সন্তান আমাকে গলা চিপেধরে হত্যার চেষ্টা করে।

এঘটনায় গত ১৫/১২/২০ তারিখে গাবতলী থানার নন জুডিশিয়াল আমলী আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে ফারুক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা এবং সকল সময় হুমকি দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।