যশোরের চৌগাছায় নিজ জমি উদ্ধারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

300

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় জোর পূর্বক নিজের জমি দখলে নিয়ে একটি ক্ষমতাধর মহল বসত বাড়ি নির্মান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার আদালতের মামলা করলে ওই জমিতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তুআইনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা না দেখিয়ে তিনি বাড়ি নির্মান অব্যহত রেখেছেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে চৌগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবুল বাশার এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি পাশ^বর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার ডহর মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা। চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের পলুয়া গ্রামের মৌজা ২১৯, এসএ খতিয়ান ৬৭০, এসএ দাগ ২৬০, আরএস খতিয়ান ৫০১, আরএস দাগ ৬৮৪ ও সেপারেশন খতিয়ান ১৭১১ মোট জমির পরিমান ২৩ শতক। এরমধ্য হতে তিনি সাড়ে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘ দিন দেশের বাইরে থাকার কারনে জমির পাশের বাসিন্দা পলুয়া গ্রামের মনিরুল হাসান মুন্নার স্ত্রী আলেয়া বেগম সমুদয় জমি নিজের দখলে নেয়। তিনি দেশে ফিরে বিষয়টি বুঝতে পেরে বেশ কয়েকবার জমি দখলের চেষ্টা করেন।

কিন্তু আলেয়া বেগম ক্ষমতাাধর হওয়ায় তিনি জমি দখলে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে জমি দখলে নেয়ার জন্য ল্যঠহু সার্ভিস ট্রাইবুনাল আদালত মামলা নং ১৩৯৫/১৭ দেওয়ানী আদালত (দলিল রোধ) মামলা নং ১৯/২০ ও ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলা নং ২৫২ দায়ের করি। বর্তমানে সব মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। বিঞ্জ আদালত চৌগাছা থানা পুলিশের মাধ্যমে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় নোঠিশ জারি করেন। কিন্তু দখলদার আলেয়া বেগম ও তার লোকজন আইনকে অমান্য করে উক্ত জমিতে পাকা বসত বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছন। আমি বাধা দিতে গেলে সেখানে আইন শৃংখলার অবনতী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। দখলদাররা বেপরোয়া হওয়ায় আমি জমির দখলে যাইনি। জমির দখল ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় আবুল বাশারের দুলাভাই হাবিবুর রহমান সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে আলেয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবুল বাশারের নিকট থেকে জমি আমাদের ক্রয় করা। তিনি টাকা নিয়েছেন কিন্তু জমি রেজিষ্ট্রি করে দিননি। জমি দেয়ার নাম করে তিনি আমাদের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে তা গ্রামের অসংখ্য মানুষ জানেন