শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের বাগিচা পাড়া গ্রামের আফজাল মতল্লির ছেলে শিমুল মিয়া (২৭) কে গত সোমবার মাইক্রোবাস যোগে অপহরণের পর তাকে হত্যা করে বস্তাবন্দি অবস্থায় পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া বাজার এলাকায় ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীদের বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বিহার বন্দরে তার পরিবারের লোকজন সকাল ১১টায় মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যর নেতা বাদশা মিয়া, ব্যবসায়ী সাজু ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল আলীম, রুবেল মিয়া, আফজাল হোসেন, রবিউল ইসলাম। পরে বিক্ষোভকারীরা দূপূর দেড়টার দিকে বাজারে অবস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম এর নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুর করার চেষ্টা করে । এসময় কর্তব্যরত এএসআই খায়রুল বাসার ভাংচুর করার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারন করতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে খায়রুল বাসার কে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ভাবে কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে । তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্য আবু বক্কর কেও লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় বাগিচা পাড়া গ্রামের মৃত: মিয়াজান এর ছেলে শাহ আলম কে আটক করে। এ ব্যাপারে নিহত শিমুলের বড় ভাই মামলার বাদী ইউপি সদস্য রায়হান আলী বলেন, মানব বন্ধনের কিছু ব্যানার ফেসটুন গাছে শাটানোর সময় পুলিশ সদসরা ভিডিও ফুটেজ ধারন করতে গেলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশকে লাঞ্চিত করার কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে কর্তব্যরত এএসআই খায়রুল বাসার বলেন, মানব বন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা ইউপি চেয়ারম্যান এর নির্মাণাধিন বিল্ডিং ভাংচুর করতে গেলে আমি ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে ইউপি সদস্যর ছোট ভাই রবিউল ইসলাম এর নির্দেশ ক্রমে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্চিত করে একপর্যায়ে জোরপূর্বক ভাবে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে।