গাবতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারুকের সংবাদ সম্মেলন

317

…………………………
এস এম সালমান হৃদয় স্টাফ রিপোর্টারঃ
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাবেক ছাত্রনেতা ও গাবতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুকের সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারন করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতি আস্থা রেখে নিজেকে সাংগঠনিক শৃংখলার মধ্য দিয়ে সুদিন ও দুদিনে দ্বায়িত্ব পালন করছি আমার মনে হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা মোতাবেক আগামীতে দলীয় পদে এবং জনপ্রতিনিধি মনোনয়নে ত্যাগী এবং যোগ্যদের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হবে সেই লক্ষে গাবতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে লড়াই করার জন্য গত ২৫ শে নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে গাবতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন ও জমা প্রদান করি কিন্তু কিছু সাধ্যনাশী মহল আমার রাজনীতি সুনাম নষ্ট করতে প্রতিনিয়তই আমার বিরুদ্ধে নানান রকম ষড়যন্তে লিপ্ত আমার অসহায় ভারসাম্যহীন বাবা মাকে ভুল বুঝিয়ে রাজনীতি প্রতিহিংসার কার্যক্রম পরিচালনা করছে এই কু-চক্র মহল এর আগে ও আমার বাবা মাকে দিয়ে একই রকমোর কার্যক্রম করেছিল। পরে দলীয় তদন্ত করে যা মিথ্য প্রমানিত হয় এবং আমাকে পুনরায় স্ব-পদে বহাল করে। যে ঘটনা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ অবগত কারন হিসেবে বলা যেতে পারে প্রথমত গত ০৭/০৭/২০২০ইং তারিখে পিতা মাতার মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে ০৯/০৭/২০২০ ইং তারিখে আমার মা স্থানীয় গাবতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং ১১/০৭/২০২০ইং তারিখে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তদন্ত টিম যার প্রধান ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত সহ সভাপতি লুৎফর বারী বাবু যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল কাদের শিপন সরেজমিনে তদন্তে যায় পাশাপাশি ইলেক্ট্রেনিক মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়া ও স্থানীয় জনসাধানের উপস্থিতিতে আনিত অভিযোগ মিথ্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আমাকে স্ব-পদে বহাল করেন। দ্বিতীয়ত গত ৩রা নভেম্বর ২০২০ জাতীয় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে গাবতলী সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মানবন্ধন প্রোগ্রামে একটি বিষয় নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে ৫ই নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বরাবর লাঞ্চিত করার অভিযোগ আনেন যেখানে উল্লেখ করেন আমি তার পাঞ্জাবীর বুকে থাবা দিয়ে টানা হেচরা করি। আমার সহযোগীরা তাকে সারারিক নির্যাতন করে বলে উল্লেখ করেন পরে ২৪/১১/২০২০ইং তারিখে সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে অভিযোগ কাট-ছাট করে গালাগালীর কথা উল্লেখ করেন অথচ ঐ দিনে ভিডিও ফুটেজে তাকে শার্ট পরিহীত দেখাযায় যেখানে তার সঙ্গে আমার কোন প্রকার কথানু-কথন হয়নায়। তৃতীয়ত গত ২৮/১২/২০২০ইং তারিখে গাবতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখ ছিল। সেই সম্মেলনে আমি নিজেকে আওয়ামীলীগে নিজেকে নিয়জিত রাখার লক্ষে ২৫/১১/২০২০ইং তারিখে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করি যাহা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহিন গ্রহন করে স্বাক্ষর করেন পরবর্তিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধানর সম্পাদক পদ প্রার্থী হিসাবে ২৩/১২/২০২০ইং তারিখে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করি এবং ২৪/১২/২০২০ইং তারিখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এবং জেলা আওয়ামীলীগের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি টি এম মুছা পেস্তা, যুগ্ম সাধানর সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি হিরো, উপদপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা এর উপস্থিতিতে পদত্যাগ পত্র সহ মনোনয়ন পত্র জমা প্রদান করি এবং ২৫/১২/২০২০ইং তারিখে আমাকে বৈধ প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করা হয়। আমি উক্ত সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হওয়ায় আমার জনপ্রিয় তায় ও নেতা কর্মীদের ভালোবাসায় ইশান্নীত হয়ে আমার বিরুদ্ধে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে বারবার রাজনীতি ও সামাজিক ভাবে হেনস্তা করছে এই মহল আমি গাবতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিগত দুই বার তথা ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সমর্থিত তালা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম সেই নির্বাচনে সদ্যপ্রয়াত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এএইচ আজম খানের নেতৃত্বে বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী নুরন্নবী প্রমানিক কে আওয়ামীলীগে যোগদান করে নিতে চেয়ে আমাকে বাদ দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীকে ভুল বুঝিয়ে তাকে নির্বাচিত করেন। যাহা ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতা কর্মী অবগত। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, সেই নুরুন্নবী প্রামানিক আওয়ামীলীগে যোগদান তো দূরের কথা সে নিজেকে এখনও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। পরবর্তিতে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগ এর নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিলাম সেই নির্বাচনেও বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী একই কায়দায় ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের নৌকার বিপক্ষে বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর খানকে নির্বাচিত করে আমাকে পরাজিত করে। এই যে ২০১৮ সালে এই হাইব্রিড নেতাকে আওয়ামীলীগে যোগদান করে আমার বিরুদ্ধে নানান রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সু-যোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হওয়া আবার তারা আমার অসহায় ভারসাম্যহীন বাবা মার দ্বারা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে সামাজিক হেও প্রতিপন্নীত করার বহি প্রকাশ।
বিধায় আপনাদের মাধ্যমে মাননিয় প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।