শাজাহানপুরে কিশোরের লাশ উদ্ধার আহত আরেকজন হাসপাতালে

117

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খড়না ইউনিয়নের গয়নাকুড়ি গ্রামে এক কিশোরকে ঘাড়ের পেছন থেকে কেটে হত্যা করেছে অজ্ঞাতরা। নিহতের সঙ্গে থাকা আরেকজন আশংকাজনক অবস্থায় পালিয়ে আসতে স্বক্ষম হয়েছেন। নিহত কিশোর ওই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ বাপ্পী(১৫)। আহত জন আহমুদ আলীর ছেলে সাহেব আলী(১৭)। গত সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মাছ শিকারের জন্য বাড়ির অদূড়ে শোলাকুড়া পুকুরে গিয়েছিলো। রাত পৌনে ১২টার দিকে সাহেব আলী আহত অবস্থায় বাপ্পীর বাড়িতে ফিরে এসে মৃত্যু সংবাদ দেয়। বোড়খা পড়া ২ব্যক্তি হত্যায় অংশ নেয় বলে সাহেব আলী জানিয়েছে। থানা পুলিশ সহ গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে কাজ করছেন।

বাপ্পীর পিতা মোকছেদ আলী জানান, বাপ্পী এবং সাহেব আলী সব সময় এক সাথেই থাকতো। বাপ্পী একজন সেনা সদস্যর বাসায় বেডম্যানের কাজ করতো। প্রায় ১৫দিন পূর্বে বাড়িতে এসছে। তারা দুজনে প্রায় সময় পাখি শিকার করতো। সন্ধ্যার পর থেকেও বাপ্পী এবং সাহেব আলী একসাথে ছিলো। রাত ১২টার দিকে সাহেব আলী আহত অবস্থায় তাদের কাছে এসে জানায় বোরখা পড়া অপরিচিত ২জন বাপ্পীকে হত্যা করেছে। এসময় সাহেব আলীর বুকে এবং হাতে সহ বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিলো। এরপর তারা বাপ্পীকে উদ্ধার করে দুজনকেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেন। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কেউ তার ছেলেকে মোবাইল ফোনে বাড়ির অদূড়ে শোলাকুড়া পুকুরে ডেকে নিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সাহেব আলীর মা কুলছুম জানান, তার ছেলে অনেকটা আধপাগলা ধরণের। অনেক রাত পর্যন্ত সাহেব আলী এবং বাপ্পী এক সাথেই ছিলো। দুজনে শোলাকুড়া পুকুরে মাছ ধরতে যাওয়ার পরামর্শ করছিলো। অনেক রাত হয়ে গেলেও তারা ফিরে না আসায় তিনি খুব চিন্তায় ছিলেন। আহত অবস্থায় সাহেব আলী তার বাড়িতে না এসে বাপ্পীর বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়।
আহত সাহেব আলী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নাই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারি শাজাহানপুর থানার এসআই ছাম্মাক হোসেন জানান, এখনো মামলা হয়নাই। সম্ভাব্য সবকিছু সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত করছে। এই মূহুর্তে কিছু বলা যাবেনা। সাহেব আলী এখন আশংকা মুক্ত।